বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
সাদাপাথর হরিলুট : প্রাথমিক তালিকায় রাজনৈতিক নেতাসহ জড়িত ১০৩ জন কোম্পানীগঞ্জের পাথরসহ গ্রেফতার হওয়া ভাইরাল ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি তৃণমূলকে সংগঠিত করে আগামীর আন্দোলন সফল করতে হবে – এড. মোমিন ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো বাস্তবায়নে তৃণমূলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: এড. মোমিন জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে: মাওলানা হাবিবুর রহমান ফরেইন এডমিশন এন্ড কেরিয়ার ডেভোলপমেন্ট ও কনসালটেন্টস এসোসিয়েশন সিলেট জোনের সংবর্ধনা সিলেট ল’ কলেজ ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটিকে যুবদলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে জেলা ও মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান দলীয় পদ হারানোর পর এবার গ্রেফতার হচ্ছেন সাহাব উদ্দিন
বিশ্বনাথে ‘গরুচোর’ সন্দেহে কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন, মামলা দায়ের

বিশ্বনাথে ‘গরুচোর’ সন্দেহে কিশোরকে বেঁধে নির্যাতন, মামলা দায়ের

বিশ্বনাথ সংবাদদাতা
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এক কিশোরের উপর অমানবিক নির্যাতনের ভিডিওচিত্র। সেই ভিডিও দেখে নিন্দার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনেরা। দাবি উঠেছে- জড়িতদের শিগিরই আইনের আওতায় আনার। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে মামলা নিয়েছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

এর আগে, রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। চুরির অভিযোগে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরের নাম ওলিউর রহমান (১৪)। সে উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের মজনপুর গ্রামের দিনমজুর রোহেল মিয়ার ছেলে।

সূত্র জানায়, একই ইউনিয়নের মটুককোনা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদের বাড়িতে ‘গরুচোর’ সন্দেহে কিশোর ওলিউরকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। রাতে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয় তাকে। এক পর্যায়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এ নির্যাতনের ভিডিও। ওঠে নিন্দার ঝড়। পরে মামলা নেয় পুলিশ।

ভিকটিমের মা জলি বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদকে।

ওলিউরের পিতা রোহেল মিয়া জানান, আমার নিরপরাধ ছেলেকে চোর অপবাদ দিয়ে মেম্বারের বাড়ি নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করা হয়। ওই গ্রামের মবশির আলীর ছেলে আবদুল বারিকসহ একাধিক লোকজন এ কাণ্ড ঘটায়।

অভিযুক্ত জনপ্রতিনিধি লায়েক আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, আমি বাড়িতে থাকাকালে কোন নির্যাতন করা হয়নি। তাকে মুরব্বিদের জিম্মায় রেখে যাবার পর এই ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, এটি একটি অমানবিক ঘটনা। এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
ThemesBazar-Jowfhowo