বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
সিলেটে শহীদ ওয়াসিম ব্রিগেডের বর্ণাঢ্য র‍্যালি সিলেটের ‘ডেভিল’ মকসুদ : অসংখ্য মামলা থাকলেও ধরছে না পুলিশ! কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতাদের অবৈধ গরুর হাট, জানে না প্রশাসন! দলের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুবদলকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে: তারেক সিলেট ছাত্রদলের বিবৃতি : ইশতিয়াক রাজু ছাত্রদলের কেউ নন! ছাত্রদল নেতা ইশতিয়াক রাজুর জামিন নামোঞ্জুর সিলেটে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিচারণ কোম্পানীগঞ্জে পাথর লুটের অভিযোগে দুলা মেম্বার বরখাস্ত রাজা জিসি হাই স্কুল মার্কেট দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির নতুন কমিটি গঠন শান্তিগঞ্জ সমিতি শুধু সংগঠনই নয় এটি অবহেলিত, ঝড়েপড়া মানুষের ভবিষ্যৎ : খন্দকার মুক্তাদির
সিলেটে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিক্ষার্থী তাহের, আসামীরা অধরা

সিলেটে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শিক্ষার্থী তাহের, আসামীরা অধরা

নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নলুয়া কান্দিগ্রামে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের আক্রোশের শিকার হয়ে জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জাঁ লড়ছে শিক্ষার্থী আবু তাহের। সন্ত্রাসী ও অপহরণকারীরা তাকে মারপিঠ ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে মৃত ভেবে কান্দিগ্রাম ঈদগাহের পাশে খালি জায়গায় ফেলে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা। অপহরণকারীদের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আসামীদের পক্ষ নিয়ে সংঘবদ্ধ একটি শক্তিশালী অপরাধ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আসামীদের মামলার চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্ভন করছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ করেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১ নং বাঘা ইউনিয়নের নলুয়া কান্দি গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর পুত্র নূরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নলুয়া কান্দিগ্রামের কয়েক জন বিবেকহীনদের লাঞ্চনা বঞ্চনা আর হীন আক্রোশের শিকার হয়ে আমার আপন ভাতিজা উত্তরভাগ আলীয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুস সালামের পুত্র আবু তাহের (১৯) আজ জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জাঁ লড়ছে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিউতে আবু তাহের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে গত ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাত ১১ টা ৫০ মিনিটের সময় নলুয়া কান্দিগ্রামের মৃত আব্দুর রহিম চেরাগের ছেলে রাহেল আহমদ (২২), একই গ্রামের লায়েক আহমেদের ছেলে ছানি আহমদ (২০), ভাদেশ্বর দক্ষিণভাগ গ্রামের মাহতাব আহমদের ছেলে তুরুকভাগ পশ্চিমপাড়া গ্রামে বসবাসকারী ফরহাদ আহমদ (২০), দাসপাড়া এলাকার আব্দুল আজিদ (হাফিজ)’র ছেলে মাহবুব (২০) সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৫/৬জন সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা আবু তাহের (১৯) কে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

নূরুল ইসলাম জানান, অপহরণকারী রাহেল, ছানি, ফরহাদ ও মাহবুবরা পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাতিজা আবু তাহেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। সন্ত্রাসীরা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার ভাতিজা আবু তাহেরকে শাহপরান (রহঃ) থানার দাসপাড়াস্থ ৬নং রোডের খেলার মাঠে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে মাথা থেকে শুরু করে সমস্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধর করে এবং ডিজিটাল ইলেকট্রিক ডিভাইজ দিয়ে ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে হত্যা করার চেষ্টা করে এবং ভাতিজাকে জোর করে নেশা জাতীয় ঔষধ খাওয়ালে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় তাকে মৃত ভেবে কান্দিগ্রাম ঈদগাহের পাশে ফেলে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা। পরে এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ থানায় নলুয়া কান্দিগ্রামের রাহেল আহমদ (২২), ছানি আহমদ (২০), ফরহাদ আহমদ (২০), মাহবুব (২০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করি। মামলা নং- ০৩, তারিখ ০৩/০৪/২০২৫ইং।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গোলাপগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের ২১ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো আসামী গ্রেফতার হয়নি। পুলিশী অভিযানের আগাম খবর কে বা কারা আসামীদের অবগত করলে তারা দ্রুত নিরাপদে অন্যত্র পালিয়ে যায়। আসামীদের স্বজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সন্ত্রাসী ও অপহরণকারী আসামীদের পক্ষ নিয়ে সংঘবদ্ধ একটি শক্তিশালী অপরাধ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আসামীদের মামলার চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্ভন করছে।

 

সংবাদ সম্মেলনে নূরুল ইসলাম জানান, নিরুপায় হয়ে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বরাবর গত ১৩/০৪/২০২৫ ইং তারিখে লিখিত দরখাস্ত প্রদান করি এবং দরখাস্তের অনুলিপি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করি। যার স্মারক নং (৫০)১৩/০৪/২০২৫ইং। পুলিশ সুপার দরখাস্ত হাতে পেয়ে সাথে সাথে গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে মুঠোফোনে আসামীদের গ্রেফতারের জন্য তিন দিনের সময় দেন। অথচ তিন দিন পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি কোনো আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা প্রকাশ্যে তাদের বাড়ি ঘরে বসবাস করলেও রহস্যজনক কারণে আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অপরদিকে আমার ভাতিজা আবু তাহেরের শারিরীক অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। সে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি রয়েছে। আবু তাহেরের পিতা আব্দুস সালাম নিতান্তই অসহায় ও গরীব, তার তিন ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে আবু তাহের ২য়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্রম ব্যক্তি আবু তাহেরের পিতা আব্দুস সালামের পক্ষে ছেলের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ পরিবার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ছেলের এমন করূণ পরিনতি দেখে পিতা আব্দুস সালাম ও মা মাজেদা বেগম বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন। তাদের দাবি যারা তাদের ছেলেকে অপহরণ করে এমন অবস্থা করেছে, দেশের প্রচলিত আইনে তাদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায় বিচারের সার্থে আমার ভাতিজার উপর চালানো নির্মম নির্যাতনের সাথে যারা জড়িত, তাদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
ThemesBazar-Jowfhowo