শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
জগন্নাথপুরে এলজিইডি’র রাস্তার কাজে অনিয়ম, মানছেন না সিডিউল

জগন্নাথপুরে এলজিইডি’র রাস্তার কাজে অনিয়ম, মানছেন না সিডিউল

নিউজ মিরর ডেস্ক
বালুর বদলে মাটি দিয়ে পাকা করা হচ্ছে সরকারি রাস্তা। এমন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। উপজেলার ৬নং রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল গ্রামে এলজিইডি’র অধীন রাস্তার ঢালাই কাজে অনিয়মের এই অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ৬নং রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল গ্রামে এলজিইডি প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ পেয়েছে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান সালেহ ট্রেডার্স। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর কাজ শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক সালেহ চৌধুরী।

সালেহ ট্রেডার্স’র প্রোপাইটর কাজের সিডিউল অর্থাৎ মান-নির্দেশিকা চরমভাবে উপেক্ষা করে চলেছেন। কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করছেন। ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করেছে।

প্রকল্পের আওতায় রাস্তার জন্য যেসব উপকরণের ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা হলো উচ্চমানের ভিট-বালু এবং অন্যান্য নির্মাণ উপকরণ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সালেহ ট্রডার্স কর্তৃপক্ষ পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা নদীর পাড় থেকে অনুপযুক্ত ও নিম্নমানের মাটি নিয়েই রাস্তার কাজ করছে। এই মাটি রাস্তার কার্পেটিং এবং ঢালাই কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে, যা রাস্তার স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব উপকরণ দিয়ে রাস্তা তৈরি হলে, খুব শিগগির এটি দেভে যাবে এবং স্থানীয় জনগণের চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হবে।

 

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি অফিসকে বারবার অবগত করা হলেও অজ্ঞাত কারণে কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে সালেহ চৌধুরী রাস্তার কাজ ইচ্ছেমত অনিয়ম করে যাচ্ছেন এবং রাস্তার নিম্নমানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।

পাশাপাশি নদীপার কেটে মাটি উত্তোলনের কারণে কুশিয়ারা নদীর প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় নদীজুড়ে পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে। যা শুধু যে এলাকাবাসীর জন্য ঝুঁকি নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করছে।

এছাড়াও, সালেহ চৌধুরী অতীতেও নানা উন্নয়ন প্রকল্পে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার এবং অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং রাজনৈতিক পদপদবী ব্যবহার করে নানা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অনৈতিক ফায়দা হাসিল করে চলেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহর অফিস অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo