শনিবার, ০৭ Jun ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
এসএমপি’র এসআই সানাউল : ৪ মাসে ১৭ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

এসএমপি’র এসআই সানাউল : ৪ মাসে ১৭ কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশের সদস্য এসআই (নিরস্ত্র) মো. সানাউল ইসলাম।

বিশেষ প্রতিবেদক
সিলেটে নজির স্থাপন করলেন এসএমপি’র শাহপরাণ (র.) থানা পুলিশের সদস্য এসআই (নিরস্ত্র) মো. সানাউল ইসলাম। এর আগে এরকম কোন অভিযান করতে দেখা যায়নি শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশকে। মাত্র ৪ মাস সময়ের ব্যবধানেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে অন্তত প্রায় ১৭ কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় মালামাল জব্দসহ আসামী আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এর নেপথ্যে নেতৃত্ব দেন শাহপরাণ (র.) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ সানাউল ইসলাম।

অল্পদিনেই তিনি চোরাকারবারি সন্ত্রাসী দুর্বৃত্তদের তছনছ করতে সক্ষম হন। অপকর্মকারী রাঘব বোয়ালদের শত হুমকি-দমকি উপেক্ষা করে সততাকে বিসর্জন না দিয়ে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজো এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দুর্বৃত্তদের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম এসআই সানাউল।

জানা গেছে, বিগত ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ৫ তারিখ শাহপরাণ (র.) মাজার তদন্ত কেন্দ্রে এসে এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কার্যক্রম শুরু করেন সানাউল। যেখানে চোরাচালানরোধে জৈন্তা-গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট থানা পুলিশ ব্যর্থ সেখানে সানাউল ইসলাম ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের দিক নির্দেশনায় দক্ষিণের ডিসি ও শাহপরাণ (র.) থানার অফিসার ইনচার্জের সহযোগীতায় এই কাজ করতে পুরোপুরি সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া তিনি প্রমাণ করতে পেরেছেন পুলিশের নিকট অসম্ভব বলতে কিছু নেই, সৎ পথে থাকলে সবকিছু করা সম্ভব। এটা সমগ্র পুলিশের জন্য গৌরব।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সানাউল ইসলাম মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে যোগদানের পর সেই এলাকায় অনিয়ম দুর্নীতি ও সকল ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। দুএকটি রাজনৈতীক অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া বড়ো কোন ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড ঘটেনি। ঘটনার কোন সংবাদ পাওয়া মাত্র তিনি সরেজমিন দৌড়ঝাপ দিতেন এর প্রতিকার রোধে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বটেশ্বর, পীরের বাজার ও শাহপরাণ (র.) মাজার এলাকার বেশ কয়েকজন দোকান ব্যবসায়ী প্রতিবেদক’কে জানিয়েছেন নভেম্বর মাসে সানাউল যোগদানের পর ফাঁড়ি এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে। এসময় তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় পুলিশ ভয়ে থাকলেও সানাউল ইসলামের সৎ সাহসীকতায় পুরো এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। একই দৃশ্যপট বহাল রয়েছে শাহপরাণ (র.) থানা এলাকায়ও।

এদিকে শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশের একটি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অদ্যবধি পর্যন্ত চোরাচালান রোধে ৩৬টি নিয়মিত মামলা রুজু করেছে শুধু মাত্র ফাঁড়ি পুলিশ। এসব অভিযানে ৫৫ জন আসামী আটক করা হয়। চোরাচালানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের নিষিদ্ধকৃত অবৈধ ভারতীয় পণ্য সহ প্রাণঘাতী মাদক। তার হাত থেকে রেহাই পায়নি ডেভিল হান্ট আসামীরাও।

শাহপরাণ (র.) থানার অফিসার ইনচার্জ মনির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘুষ দুর্নীতির উর্ধ্বে থেকে আমার পুলিশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমার কোন পুলিশও যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদেরকেও জবাবদিহীতার আওতায় আনতে দ্বিধাবোধ করবোনা।

তিনি বলেন পুলিশ কমিশনার স্যারের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। যে কোন ধরণের অপকর্ম রোধে পুলিশ সোচ্চার রয়েছে।

এসময় তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত মোট ১শ ৩২জন আসামী শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে। মোট মামলা রুজু হয়েছে ৬২টি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo