শনিবার, ০৭ Jun ২০২৫, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
চেঙ্গেরখাল নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নেপথ্যে কৃষক দল নেতা!

চেঙ্গেরখাল নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নেপথ্যে কৃষক দল নেতা!

বিশেষ প্রতিবেদক
রাতের আঁধারে সিলেট সদর উপজেলার চেঙ্গেরখাল নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। বালু বিক্রি করে চলছে টাকা লুট! একসময়ে এই নদী থেকে সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন করা হত। পরে সেই বালু বিক্রি হত এবং বলগেইট লঞ্চ মাধ্যমে তা অন্যত্র পাঠানো হত। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এবার সেই হাল ধরেছেন বালু ব্যবসায়ী সদর উপজেলার কৃষক দল নেতা নুরুল হক।

চেঙ্গেরখাল নদীতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন চললেও বিষয়টি অদৃশ্য কারনে স্থানীয় প্রশাসনের নজরে পড়েনি। ফলে সরকারের রাজস্ব হরিলুট নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষক দল নেতা নুরুল হক ও সদর উপজেলার এক ছাত্রদল নেতার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়।

বর্তমানে চেঙ্গেরখাল নদীর ধুমখাল ও বাছাই গাঙ্গ নদীর পাশ এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। এসব জায়গা কোনো সময়ই ইজারা দেয়নি সরকার। তবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজের স্বার্থের জন্য অবৈধভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বাণিজ্য করছেন বালু ব্যবসায়ী নুরুল হক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ এবং অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকার পনের পর থেকে রাতের আঁধারে চেঙ্গেরখাল নদী থেকে অবৈধভাবে বলগেইট লঞ্চ দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন কৃষক দল নেতা নুরুল হক। তিনি একজন বালু ব্যবসায়ী। দৈর্ঘদিন থেকে তিনি এই কাজে জড়িত। তার সাথে রয়েছেন সদর উপজেলার একাধিক নেতা কর্মীরা। কৃষক দল নেতা নুরুল হক ও তার দলবলের ভয়ে এলাকার কেউই প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। আর যারা মুখ খুলছেন তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করছেন বালু ব্যবসায়ী নুরুল হক।

বিষয়টি জানতে কৃষক দল নেতা নুরুল হকের ০১৭৩৮…..৪৬ নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয়রা আরো জানান, ৫ আগস্ট সরকার পতনের থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছেন নুরুল হক ও তার বাহিনী। আইন শৃংখলার ডিলেডালা অবস্থার কারনে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে পড়েনি। তাই প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার আশপাশের অনেক কৃষকের আবাদি জমি ভেঙে যাচ্ছে।

বিষয়টি জানেন না সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোশনূর রুবাইয়াৎ। তিনি খবর নেবেন এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনাবেন। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি দেখার জন্যও বলবেন।

 

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo