সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হলো বাংলা নর্ববর্ষ উৎসব ১৪৩২।
সোমবার (১৪এপ্রিল) জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটিরে উদ্যোগে সকাল ১০ টায় নববর্ষের শোভাযাত্রা, সকাল ১০.১৫ টায় মেলার উদ্বোধন এবং সকাল ১০.৩০ টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখ থেকে শুরু হয়ে সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামের সামনে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ নজরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসরড. মোঃ আসাদ-উদ-দৌলা, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদার, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, বিভিন্নঅনুষদীয় ডিন, দপ্তরপ্রধান, বিভিন্ন হলপ্রভোস্টসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
শোভাযাত্রা পরবর্তী মেলা উদ্বোধন শেষে সিকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, আজ ১৪৩২বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। এইদিনটি বাংলাপঞ্জিকায় নতুন বছর যোগ করেছে।পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমাদের মধ্যেদেশপ্রেম ওবাঙালিত্বের এই অনুভূতি পুনরুজ্জীবিত ও দৃঢ় হয়।অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন লোকউৎসব।এইদিনে আনন্দঘন পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। নববর্ষ সমৃদ্ধি ওনতুন জীবনেরপ্রতীক। অতীতের ভুল ও ব্যর্থতার দুঃখ ভুলে এবং সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করতে এই নববর্ষ উদযাপন করা হয়। এসময় তিনি নতুন বছর নতুন স্বপ্ন, আশা ও সুযোগ নিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে সিকৃবি ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই সাজসাজ রব পরে এবং এসময় উৎসব মুখর পরিবেশ ছিল গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে। রাত জেগে শিক্ষার্থীরা কাম্পাস জুড়ে আল্পনা আঁকা, মেলার প্রস্ততি, প্যান্ডেল তৈরী, পিঠা, পুলি, পায়েস, নাড়ু তৈরী করেন। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।-বিজ্ঞপ্তি