নিউজ মিরর ডেস্ক
গত ১৫ এপ্রিল আনুমানিক পৌনে আট ঘটিকায় এয়ারপোর্ট থানাধীন দলদলি চা বাগান সংলগ্ন রাস্তায় হত্যার শিকার হন সিলেট নগরীর রায়নগর এলাকার বাসিন্দা এ্যাডভোকেট সাজেদ আহমদ চৌধুরীর বড় ছেলে তুষার আহমেদ চৌধুরী (২১)। ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র হত্যাকান্ডে জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতারে অভিযানে নামে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। পুলিশের নানামুখী তৎপরতায় ঘটনার আড়াই ঘন্টার মধ্যেই হত্যাকান্ডে জড়িত জাবেদ (২৫) কে নগরীর মজুমদারী এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। নিহতের পিতা অভিযোগ দায়ের করলে এয়ারপোর্ট থানার মামলা নং ১১ তারিখ:১৬/৪/২০২৫ ধারা:৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি রুজু করা হয়।ঘটনার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহপূর্বক তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে ঘটনায় জড়িত মূল আসামী পারভেজকে গ্রেফতারে মাঠে নামে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুল বাছেত সরকারের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রযুক্তিগত সহায়তা ও দিক নির্দেশনায় ধারাবাহিক অভিযানের এক পর্যায়ে অদ্য ২০ এপ্রিল রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকার পূর্বাচল সংলগ্ন গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকা হতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ঘাতক পারভেজ (২০), পিতা-মোঃ সুনাফর আলী সানোয়ার, সাং-জালালপুর, থানা-বালাগঞ্জ, বর্তমানে; সাং-কলবাখানী, থানা-এয়ারপোর্ট, সিলেট ও ঘটনায় জড়িত অপর সহযোগী রাজু দাস (২৩), পিতা-সোমলাল দাস, সাং- রন্নারচর, থানা-দিরাই, জেলা- সুনামগঞ্জ, বর্তমানে; সাং- বাগবাড়ি, থানা-কোতোয়ালী, সিলেটকে গ্রেফতার করে।
আসামীদের গাজীপুর হতে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় এনে মামলার ঘটনার বিষয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা মামলার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করে। তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই হত্যাকান্ডের পরপরই একটি স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রীমহল সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ গ্যালারিয়া শপিং কমপ্লেক্স এর দোকান কর্মচারী পারভেজকে এই হত্যাকান্ডের মূল আসামী বলে তার ছবি এবং ফেসবুকের প্রোফাইল লিংকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে ঘটনার মূল আসামীকে আড়াল করার অপচেষ্টা করে, যা এসএমপি কর্তৃপক্ষের নিবিড় তদারকি ও তদন্ত টিমের তৎপরতায় নস্যাৎ হয়। সংগৃহীত তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষনের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, উক্ত দোকান কর্মচারী পারভেজ, তুষার হত্যাকান্ডের মূল আসামী পারভেজ নয়।