নিউজ মিরর ডেস্ক
প্রখ্যাত আলেম শায়খুল হাদিস ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশর উপদেষ্টা সিলেটের জকিগঞ্জের কৃতি সন্তান আল্লামা মুকাদ্দাস আলী (বারগাত্তার মুহাদ্দিস ছাহেব) বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
বুধবার সকালে সিলেটের জকিগঞ্জ নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। তার ইন্তেকালে সিলেটজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জকিগঞ্জের সোনাসার সংলগ্ন পূর্ব মাঠে বাদ আসর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে তার কর্মস্থল মুন্সিবাজার ফয়জে আম মাদ্রাসায় শায়েখ আব্দুল গফ্ফার মামরখানি রহ. এর কবরের পাশে শায়িত করা হয়। জানাজায় মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলীসহ দেশের প্রখ্যাত আলেম, রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিসহ হাজার হাজার মুসল্লি অংশ নেন।
এদিকে শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলীর ইন্তেকালের খবর শুনে তাকে শেষবারের মতো একবার দেখতে সকাল থেকে সোনাসার গ্রামের বাড়িতে আসতে থাকেন আলিম উলামাসহ হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। তার শেষ বিদায়ে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা যায়, শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী একজন নিভৃতচারী বুজুর্গ ছিলেন। পার্থিব দুনিয়ার তাঁর মধ্যে মোহ-মহব্বত ছিলনা। কিতাব অধ্যয়নেই ছিল সব আনন্দ-আহ্লাদ। প্রশান্তি পেতেন পবিত্র কোরআন মাজিদের আয়াত, তাফসির ও হাদিসের বাণী বিশ্লেষণে। জীবনের শেষ সময়ে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়লেও কিতাবের মায়া এবং ছায়ায় ছিলেন ফুরফুরে।
তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা জানান, আল্লামা মুকাদ্দাস আলী কিংবদন্তিতুল্য একজন শায়খুল হাদিস হওয়ার পাশাপাশি একজন উঁচুমাপের বুজুর্গও ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার ছেলেরা আলেম ও হাফেজ এবং শিক্ষকতায় নিয়োজিত।