নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল হকের পদত্যাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন চলছে। জুলাই আন্দোলনের পর মো. নুরুল হক দীর্ঘদিন আত্বগোপণে থাকার পর এবার তিনি বের হয়ে পলাতক সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ও আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরামর্শে পদত্যাগের নাটক করছেন বলে বিশেষ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ৩০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুষা। অনেকেই এই বিষয়টাকে তার নয়া নাটক বা নতুন কৌশল বলে মন্তব্য করছেন।
ওই সূত্রটি জানায়, আনোয়ারুজ্জামান ও শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরামর্শে নুরুল হক পদত্যাগের নাটক করছেন। তার কারন তিনি ফ্রী হয়ে এলাকার সব খবরা খবর পৌছাতে পারবেন তাদের কাছে। এমনকি মামলা থেকেও রেহাই পাবেন। বর্তমানে তিনি গোপনে থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করার চিন্তাভাবনা করছেন।
জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয় নেই তাদেরকেই কাজে লাগাচ্ছেন আনোয়ারুজ্জামান। এলাকায় এরা গুপ্তচরের কাজ করবে এই মর্মে তাদেরকে আর্থিক সাহায্যও দেয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালেও শোভা পাচ্ছে ডেভিল নুরুল হকের পদত্যাগের কাহিনী। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবরে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আওয়ামী রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন মর্মে সংবাদও প্রচার হচ্ছে। শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এই নুরুল ইসলাম ছিলেন সাবেক এমপি শফিকুর রহমানের খাস অনুসারী এবং বিশ্বনাথ বিএনপির নেতা কর্মীদের আতঙ্ক। তিনি গত ৫ আগস্টের পুর্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্হান নেয়া বিএনপি জামায়াতের গুপ্তচর। সে সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে বিএনপি জামায়াতের নেতা কর্মীদের নাম ঠিকানা পৌছে দেয়ার কাজ করতেন।
নুরুল হক বিশ্বনাথ উপজেলার জানাইয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি ১৯৯৫ইং সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে নিযুক্ত।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, পারিবারিক নানা সমস্যার কারণে দলীয় পদ-পদবী থেকে তিনি অব্যাহতিসহ রাজনীতি থেকে চির বিদায় নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও তিনি অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত হবেন না বলেও উল্লেখ করেন। আজ থেকে দলীয় কোন কার্যক্রমের সাথে তার আর কোন সম্পর্ক নাই এবং এ ব্যাপারে আর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ না করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
এ ঘোষণাকে নাটক ছাড়া কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তাদের দাবী ৩০ বছর আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করা ব্যাক্তি হঠাৎ করে পদত্যাগ করতে পারে না। এর অন্তড়ালে বিশাল পরিকল্পনা।