শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সিলেটে বিএনপির পরিচয়ে ফায়দা নিচ্ছে ডেভিল হোসেন

সিলেটে বিএনপির পরিচয়ে ফায়দা নিচ্ছে ডেভিল হোসেন

ছবিতে লালবৃত্তে যুবলীগের ডেভিল হোসেন আহমদ।

বিশেষ প্রতিবেদক
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বিগত দেড় দশক বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দিয়ে স্টিমরোলার চালানো হয়েছিলো। অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন সবই করা হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ডেভিলরা তাদের পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘরে ঘরে তল্লাশি করে গ্রেফতার করিয়েছিলো বিএনপির নেতা-কর্মীদের। পরিবারের সদস্যদের সাথে করেছে খারাপ আচরণ। নেতাকর্মীদের না পেয়ে পরিবারের পরিবারের তুলে নিয়ে গ্রেফতার দেখিয়েছে। গ্রেফতারের পর কারাগারের ভিতরেও অশান্তিতে রাখা হয়েছিল তাদের। ডেভিলদের যন্ত্রনায় একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন নেতাকর্মীও শান্তিতে ঘরে ঘুমাতে পারেননি। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এই নির্যাতন এখন ইতিহাস।

এসব নির্যাতনের কথা ভুলে গেছে সিলেট বিএনপি এবং দলের অঙ্গসংগঠনের কিছু সুযোগ সন্ধানী নেতা কর্মীরা! কাঁচা টাকার মোহে পড়ে আজ তারাই এসব ডেভিলদের আশ্রয় আর প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রকাশ্যে ডেভিলদের নিয়ে ঘোরাফেরাও করছেন। দিচ্ছেন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক শেল্টার। এমন অভিযোগ শোনার পর সিলেট মহানগর বিএনপির এক হেভিওয়েট নেতা নিজের উপর পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কথা এবং ডেভিলদের নিয়ে দলের নেতা কর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা হোসেন আহমদ। জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারি একাধিক মামলার পলাতক আসামী সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদ হোসেন ইমু, সিলেট মহানগর যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রুপম আহমেদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং বিএনপি নেতা আফম কামাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ ক্যাডার শাকিল আহমদের সহযোগী।

অনুসন্ধানের জানা গেছে, বিগত সরকারের আমলে হোসেন আহমদ আওয়ামী লীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের মিছিল, মিটিংয়ে সক্রিয় ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারি সিলেট জেলার বিভিন্ন ক্যাডারদের খাবার এবং আশ্রয় দিয়ে ছিলেন নিজের আম্বরখানার টিল্যান্ড হোটেলে। সিলেটে আন্দোলন চলাকালে এই হোটেল থেকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং একত্রিত হয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে। ৪ আগস্ট সিলেটে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডারদের অস্ত্র এই হোটেলেই রেখেই পালিয়েছে তারা। পুলিশের পিসিপিআর ঘাটিয়ে মিলে হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বিবরণ।

আম্বরখানা এলাকার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সিলেটে ভারতীয় চিনি চোরাচালান চক্রের মূল হোতা হোসেন আহমদ। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেটের চোরাচালানের অন্যতম যুবলীগের এমদাদ হোসেন ইমু, রুপম আহমেদ, শাকিল আহমেদ ও জেলা ছাত্রলীগের রাহেল সিরাজকে নিয়ে তিনি এই চোরাচালান চক্র নিয়ন্ত্রন করতেন। তার হোটেল টি ল্যান্ডে চোরাচালানের টাকা লেনদেন, চোরাকারবারীদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হত। এছাড়াও তার সরকারের আমলে যুবলীগের নেতারা এখানে বিভিন্ন পাথর ব্যবসায়ীদের এনে টর্চার করতো। তার এসব অপকর্মের শেল্টার দিতেন জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারি একাধিক মামলার পলাতক আসামী সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি। বিনিময়ে তিনিও পেতেন চোরাচালানের মোটা অংকের টাকা। সেই সময়ে তার চোরাচালানের ব্যবসা ছিলো রমরমা, এখনও তা চলমান। হোসেন তার অবৈধ টাকা দিয়ে মহানগর যুবলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের মিছিল এবং বিক্ষোভের খরচ বহন করতো। বিষয়টি সিলেট আওয়ামী লীগের সবাই জানতো। এ কারনে তার দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা তাকে ‘ডোনার’ হোসেন নামে ডাকতো। হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত, আলম খান মুক্তি এবং তার ভয়ে আম্বরখানা এলাকার ব্যবসায়ীরা ভয়ে কিছুই বলতেন না! ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও হোসেন থেমে নেই! চোরাচালান এখনও চলছে আগের মত। শুধু হাত বদল হয়েছে।

ডেভিল হোসেনের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানিগাওয়ে। আওয়ামী লীগ সরকার পালানোর পর হোসেন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মুছে ফেলেছেন তার আওয়ামী লীগের অতীতের সোনালী অর্জন! নিজেকে এখন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং বিএনপির লোক বলে জানান দিচ্ছে। এছাড়াও পরিচয় দিচ্ছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির এক নেতার আত্মীয়। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সিলেট বিএনপিতে যোগদান এবং পদ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন। এমনকি বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামেও যাতায়াত করছেন। আওয়ামী লীগের সময়ে হোটেল টি ল্যান্ডে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা, মাদক ও চোরাচালান করে বানিয়েছেন অঢেল সম্পত্তি। বানিয়েছেন বাড়ি-গাড়ি-নগরে দোকান! আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তার টর্চার সেল হোটেল টি ল্যান্ড এখনও রয়েছে বহাল। এখন অবশ্য এই টর্চার সেলে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের আনাগোনা। নিজেকে সেইফ জুনে রাখতে হোটেল রুমও অনেক নেতাকর্মীদের নামে বরাদ্ধ করে রেখেছেন। আর প্রকাশ্যে সিলেট বিএনপির ইলেকট্রিক সাপ্লাই গ্রুপের নাম ব্যবহার করছেন। তবে ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইয়ে দ্বায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, হোসেন নামে কোনো ডেভিল তাদের গ্রুপে নেই। এরকম ডেভিল তাদের গ্রুপে নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। ঐতিহ্যবাহী ইলেকট্রিক সাপ্লাই গ্রুপের নাম ব্যবহার করলে তাকে আইনের আওতায় তুলে দেয়ার আহবান জানান তারা।

সূত্র জানিয়েছে, ডেভিল হোসেন আহমদের সব বড়-বড় চোরাচালান কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ-গোয়াইনঘাট সড়ক দিয়েই আসে। সপ্তাহে ৩/৪ টি বড় চালান। এখানেই ব্যবহৃত হন লাইনম্যান খ্যাত যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মীরা। টিল্যান্ড হোটেলে বসেই সিলেটের সব চোরাচালানের টাকা লেনদেন হয়। এই চোরাচালান নগরীর বনকলা পাড়ার হায়দর ও মটর মনা নামক লাইনম্যান নিয়ে আসে। এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। প্রতিরাত থেকে ভোর পর্যন্ত তারাই সড়ক পাহাড়া দেয়। ওরা এই কাজে, এই রোডে ৩টি মোটরসাইকেল একটি সিলভার রংয়ের পালসার অপরটি নীল রংয়ের পালসার এবং একটি হলুদ রংয়ের সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল দিয়ে প্রশাসনের অবস্থান সম্পর্কে চোরাকারবারিদের জানায় এবং তারা প্রটকল দিয়ে নগরের ভিতরে নিয়ে আসে। এছাড়াও একটি সিলভার রংয়ের এক্স নোহা গাড়ি এই কাজে ওরা ব্যবহার করে। সম্প্রতি মালনীছড়া চা-বাগানের ভেতর থেকে যে চিনির চালান আটক করে পুলিশ সেই চালানটি হোসেনের। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে হোসেন নিজেকে টিকিয়ে রেখেছেন। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষের দিকে ২০২৪ সালের ৬ জুন শহরতলীর উমাইরগাঁওয়ে ভারতীয় চিনি ভর্তি ১৪টি ট্রাক জব্দের ঘটনায় যে সিন্ডিকেট ছিলো সেই সিন্ডিকেটের মূলহোতা ডেভিল হোসেন এবং সিলেট মহানগর যুবলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রুপম আহমদ। হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সিলেটে একচেটিয়া চোরাচালান ব্যবসা করেন।

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেটে ২০২২ সালের নভেম্বর ৭ সোমবার বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যার হুকুম দাতা ছিলেন ডেভিল হোসেন। সেই সময়ে আওয়ামী লীগের পুলিশ খ্যাত সিলেট মহানগর পুলিশের বিতর্কিত কর্মকর্তা সাবেক ডিসি আজবাহার আলী শেখের মাধ্যমে এই মামলা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখেন। তবে এই মামলার অন্যতম পলাতক আসামী হোসেনের ক্যাশিয়ার শাকিলকে বলির পাঁঠা বানান। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নিজের টাকায় যুবলীগ ক্যাডার শাকিলকে মালয়েশিয়া পালাতে সহযোগীতা করেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিলেটে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুসারীরা পাহারা দিয়ে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চোরাচালানের কসমেটিকস, কাপড়, চকলেট, মাদক, চিনির ট্রাক শহরে ঢোকাতেন। এখন শুধু এ কাজে হাতবদল ঘটেছে। তার লাইনম্যান খ্যাত যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মীরা তারই চোরাচালানের গাড়ি গন্তব্যে পৌছতে মোটরসাইকেল কার, জিপ, নোহা, হাইয়েস যোগে তারাই পাহাড়া দিয়ে নগরে নিয়ে আসছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হার্ডলাইনে প্রশাসন। চোরাচালান জব্দে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসছে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।

যুবলীগ নেতা ডেভিল হোসেন আহমদ নিউজ মিররকে বলেন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি কোনো চোরাচলানের সাথে জড়িত নন। টি ল্যান্ড হোটেলটি তার ভাড়ায় নেয়া। আওয়ামী অতীতের সোনালী অর্জন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তিনি বিএনপির লোক। যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি তার আত্মীয়। তার বিরুদ্ধে লিখে কোনো লাভ নেই। সবকিছু তিনিই দেখেন।

সিলেট বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। বিএনপি কিংবা অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যে বা যারা অপকর্ম অথবা অপরাধ করবে, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডেভিল প্রসঙ্গে নিউজ মিররকে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ৫ই আগস্টের পূর্ববর্তী দীর্ঘ দেড় দশক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তার দলের নেতাকর্মী এবং তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ভিন্নমত এবং ভিন্ন পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনে নেতাকমীদের বছরের পর বছর, মাসের মাসের পর মাস, দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা, নির্যাতন ও নিপীড়ন করছে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে গ্রেফতার দেখিয়েছে। বিগত দেড় দশকের দুঃশাসনের কবলে পড়ে যারা অনেকেই গুম-খুন হয়েছেন।
৫ই আগস্টের দীর্ঘ দেড় দশকের আন্দোলনের ফসল ও আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা এবং সরাসরি সম্পৃক্ততা উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের মানুষ, এই মানুষের উপর আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে রাজপথে দীর্ঘ দেড় দশকের আন্দোলনের একটা পর্যায়ে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আজকের বাংলাদেশ। এই সময়ে এসে যদি ওই দুঃশাসনের সাথে সম্পৃক্ত কেউ বিএনপির পতাকা তলে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করে এই বিষয়ে আমাদের দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ ফোরাম থেকে ইতোমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে যে ফ্যাসিস্ট এবং তার দোসরদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে কোনো রকমের ঠাই নেই এবং দল এরকম লোকদের কখনই ঠাই দেবে না।
যে সকল ডেভিলদের দলে দেখা যাচ্ছে বলে প্রচার হচ্ছে, আমরা মনে করি এই সমস্থ দুষ্কৃতিকারীরা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু আমরা এই ব্যাপারে সতর্ক রয়েছি। আমরা এ ব্যাপারে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ ফোরাম অথবা আমরা নেতৃত্বে যারা আছি, আমরা এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে যাতে এই ডেভিল অথবা তার সহযোগী সহচর কোন অবস্থাতেই আমাদের দলীয় পতাকা তলে সমবেত হতে না পারে। আরেকটি কথা ইতোমধ্যে দল থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যে দলে কোন ধরনের যোগদান নেই। এটা দলের ক্লিয়ার নির্দেশনা।
আর যদি এভাবে কেউ আসেন, আর এই আসার পথ যদি কেউ প্রশস্ত করে দেয়ার সহযোগিতা করেন, দল তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বদ্ধপরিকর। এভাবে দলের বিরুদ্ধে গত ৮/৯ মাসে যারা দলের নীতি এবং আদর্শের বিরুদ্ধে গিয়েছেন, দল তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক সদস্য পদসহ ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এটা চলমান রয়েছে। যারা জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাসী এবং বিগত দেড় দশক রাজপথে আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে পুলিশের গুলি উপেক্ষা করে রাজপথে থেকেছে, তারা কোন সময় ডেভিল অথবা তার সহযোগী সহচরদের কোন ধরনের সুযোগ দেবে না। আর যারা এদের সুযোগ করে দেবে তারা আমাদের দলের কোন পর্যায়ের নেতা কর্মী হতে পারে না। এরা সুযোগ সন্ধানী। এরা সবসময়ই উৎপেতে থাকে সুযোগ গ্রহণ করার জন্য। এদের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা রয়েছে। ইনশাআল্লাহ এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটবে না। এটাই বাস্তবতা।

 

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo