নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আহাদকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে উত্তেজিত সাধারন জনতা। আহাদ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের সহযোগী। তার বিরুদ্ধে এসএমপি’র বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র। সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই তাকে উত্তেজিত জনতা আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। উত্তেজিত জনতার গণধোলাইয়ে ছাত্রলীগের এই চিহ্নিত সন্ত্রাসী আহাদ গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ১৬ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থী তানজিনা বেগমকে হত্যার জন্য গলা টিপে ধরে ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আহাদ। শিক্ষার্থীর গলা টিপে ধরা ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনায় আসে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম তানজিনা বেগম। তিনি এই বিষয়ে তার ফেসবুকে ওয়ালে লিখেছিলেন, প্রথম আঘাতেই ছাত্রলীগ তার নাক ফাঁটিয়ে দেয়। তবুও তিনি উঠে দাঁড়ালে একজন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তার গলা টিপে ধরে৷
অপর একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের সহযোগী হিসেবে নগরীর আম্বরখানা এলাকায় সব ধরনের অপকর্ম করে আসছে। বর্তমানে সে নিজেকে বাঁচাতে বিএনপির কর্মী পরিচয় ব্যবহার করে আম্বরখানা এলাকায় তার অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। তার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ আম্বরখানা এলাকাবাসী। তাকে আটক করায় এসএমপি’র পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আম্বরখানাবাসী।
বিষয়টি জানতে এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আনিসুর রহমানকে একাধিকবার কল করলেও তার মুঠোফোন ব্যস্ত দেখায়। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রলীগের আহাদের বিরুদ্ধে এসএমপি’র বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তদন্ত করে তাকে সেইসব মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। বর্তমানে আহাদ পুলিশি হেফাজতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধী।