বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
সাদাপাথর হরিলুট : প্রাথমিক তালিকায় রাজনৈতিক নেতাসহ জড়িত ১০৩ জন কোম্পানীগঞ্জের পাথরসহ গ্রেফতার হওয়া ভাইরাল ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি তৃণমূলকে সংগঠিত করে আগামীর আন্দোলন সফল করতে হবে – এড. মোমিন ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো বাস্তবায়নে তৃণমূলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: এড. মোমিন জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে চা শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে: মাওলানা হাবিবুর রহমান ফরেইন এডমিশন এন্ড কেরিয়ার ডেভোলপমেন্ট ও কনসালটেন্টস এসোসিয়েশন সিলেট জোনের সংবর্ধনা সিলেট ল’ কলেজ ছাত্রদলের নব গঠিত কমিটিকে যুবদলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিনে জেলা ও মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান দলীয় পদ হারানোর পর এবার গ্রেফতার হচ্ছেন সাহাব উদ্দিন
চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্য জাফলং, নেপথ্যে কামরুল সিন্ডিকেট

চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্য জাফলং, নেপথ্যে কামরুল সিন্ডিকেট

নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন। ফলে দৈনিক লাখ-লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে কামরুল সিন্ডিকেট। এছাড়াও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও ইউএনও’ এর নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপির নেতৃবৃন্দের একান্ত পাহারায় কামরুল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বদরুল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলছে জাফলংয়ের চাঁদাবাজি! জাফলংয়ের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যবেষ্টিত জাফলং জুমপার, স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘বরুনের জুং’ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। জাফলংয়ের এই সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রন করছেন কামরুল। তার নির্দেশে একের পর এক চাঁদাবাজ চক্রের মধ্যে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

জানা গেছে, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলংয়ের জুমপার, ইসিএ ভুক্ত এলাকায় চলছে অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনের মহোৎসব।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাম রক্ষা বাঁধের দুই পাশে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার (বালু তোলার পাইপ মেশিন) দিয়ে দিনে রাতে অবৈধভাবে চলছে বালু ও পাথর উত্তোলন। এর মধ্যে জাফলং জুমপাড় বরুনের জুং, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাংলা বাজার, বালির হাওর, জাফলং ডাউকী নদীর ইসিএ ভুক্ত এলাকাসহ আশেপাশে অবৈধভাবে শ্যালো মেশিন ও ফেলুডার দিয়ে বালু পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ধ্বংস হচ্ছে জাফলংয়ের পরিবেশ। এসকল এলাকায় প্রায় ৩০টিরও বেশি গর্ত রয়েছে।

গর্তে বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিন, এক্সেভেটর ও ফেলুডার ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বোমা মেশিন থেকে দৈনিক ১৫ হাজার, গর্ত থেকে ১০ হাজার, এক্সেভেটর থেকে ১৫ হাজার, শ্যালো মেশিন থেকে ২ হাজার ফেলুডার থেকে ২ হাজার এবং প্রতি নৌকায় লোড করা বালু থেকে তিন টাকা ফুটে হিসেবে টাকা আদায় করেন স্থানীয় থানা পুলিশের নামে লাইনম্যান ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল, কামাল মেম্বার, জাহিদ, কামরুল, খায়রুল ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বদরুল।

স্থানীয়রা আরো জানায়, প্রশাসনের এমন দায়সারা অভিযান স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি করে। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলে যাচ্ছে বালু ও পাথর নিয়ে। নদী আর বাঁধের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা। এই ট্রাক থেকে আরেকটি চক্র চাঁদাবাজি করে। সবমিলিয়ে চাঁদাবাজদের স্বর্গরাজ্য জাফলং।

স্থানীয়রা জানান, এসব কার্যক্রমের পেছনে রয়েছে কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহল, যারা প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল, কামাল মেম্বার, জাহিদ, কামরুল। তাদের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদীরা বলছেন, এখনই শক্ত পদক্ষেপ না নিলে জাফলংয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।

এই চক্র গত আগস্টের পর থেকেই ইসিএভুক্ত এলাকা জাফলং,বাংলা বাজার, বালির হাওর, পিয়াইন ও ডাউকী নদীর উৎসমুখ হয়ে জাফলং সেতু পর্যন্ত অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। এতে মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে দায়সারা অভিযান পরিচালনা করা হলেও অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পর সেই আগের রূপ ফিরে পায় জাফলং নদী।

পরিবেশবাদীদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দ্রুত হস্তক্ষেপ ছাড়া জাফলংয়ের অস্তিত্ব রক্ষা সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার তোফায়েলের মুঠোফোনে কল করলে তিনি জানান, অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে পুলিশ সবসময় তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তিনি খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

বিষয়টি জানেন না উপজেলা নির্বাহী অফিসার রতন কুমার অধিকারী, প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ কে বলবেন।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
ThemesBazar-Jowfhowo