নিউজ মিরর ডেস্ক
বালুখেকোদের হাত থেকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই সেতু রক্ষায় সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে ধলাই সেতু রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদ তীরবর্তী সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ধলাই সেতুর পূর্বপাড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বালু লুটতরাজ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। প্রশাসনকে দুইদিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয় সভা থেকে। এর মধ্যে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ধলাই সেতু রক্ষা কমিটির আহবায়ক মো. আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাস্টার মো. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী বাবুল, সহসভাপতি নজির আহমদ, সহ সভাপতি শুকুর আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আকবর, সহসাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মেম্বার, জুয়েল আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন, শ্রমিকদলের সভাপতি আবুল বাশার বাদশা,পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের সভাপতি আলী আহমদ, বজলু মিয়া, আব্দুল্লাহ আল হেলাল, তাজ উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন, এলাইছ আহমদ, সুলেমান তালুকদার, জয়নাল আবেদীন, এডভোকেট মখদ্দছ আলী, তেরা মিয়া, মাসুক মিয়া, সুনা মিয়া, মানিক মিয়া, ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবাধে বালু তুলে ধলাই সেতু ধ্বংসের আয়োজন চলছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে ধলাই সেতু রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বক্তারা জানান, ২০০৫ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩৪ দশমিক ৩৫ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের ধলাই সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তৎকালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সেতুটি উদ্বোধন করেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে ভারত সীমান্তঘেঁষা তিনটি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষের সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে ধলাই সেতু।
বক্তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট- পরবর্তী সময়ে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের শিথিলতায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদে শুরু হয় নির্বিচার বালু ও পাথর লুট। বালুখেকোরা প্রশাসনিক কোনো বাধা না পাওয়ায় এতই বেপরোয়া হয় যে ধলাই সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করা শুরু করে। এতে সেতুটি ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।