নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট নগরীর উত্তর বালুচরে একজন প্রবাসীর জমি দখল করে দোকান কোঠা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। ৩৬নং ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম মিয়া ওই প্রবাসীর জমিতে অস্থায়ী দোকান কোঠা নির্মাণ করেছেন। ওই জমির প্রকৃত মালিক যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ। তিনি প্রায় ৩৫ বছর আগে ১৯৯০ সালে সাড়ে ৭ ডিসিমেলের এই প্লটটি ক্রয় করেন। জমির দলিল, নামজারির ফরছা ও খাজনার রশীদ সব কিছুই নাজির আহমদের নামে। নিজে মাটি ভরাট করান, সীমানা দেন এবং নিজের স্বত্ত্বাধীকারী সাইনবোর্ডও লাগান।
গত সোমবার উত্তর বালুচরের ৩৬নং ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম মিয়া তার দলবল নিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার নাজির আহমদের স্বত্ত্বাধীকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে জমি দখল করে এবং সেখানে অস্থায়ী দোকান কোঠা নির্মাণ করে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ৩৬নং ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম মিয়া প্রবাসীর জমিসহ বিভিন্ন লোকের জমি দখল করেছে। এটা তার ব্যবসা। আওয়ামী লীগের আমলেও সে আওয়ামী লীগের লোক হিসেবে কাজ করতো। অপারেশণ ডেবিল হান্টের সময়েও সে এসব করছে। জনমনে প্রশ্ন কেন থাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না?
বিষয়টি জানতে ৩৬নং ওয়ার্ডের জাতীয়তাবাদী ব্যবসায়ী দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার মুঠোফোনে কল করলে তার মুঠোফোন বন্ধ দেখায়।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ জানান, বিগত ৩৫ বছর ধরে এই জমি আমার সম্পূর্ণ ভোগদখলে। নিজে মাটি ভরাট করেছি, ওয়াল দিয়েছি। আমার সত্ত্বাধীকারী সাইনবোর্ডও দীর্ঘদিন ছিল। প্রতিবার দেশে গেলে আমার প্লটটি দেখে আসি। স্থানীয় সবাই জানেন এই প্লটটির মালিক ও সত্ত্বাধিকারী আমি। হঠাৎ কাল (সোমবার) খবর পেলাম স্থানীয় আসলাম নামের এক লোক দখলের অপচেষ্টায় আমার সত্ত্বাধীকারী সাইনবোর্ড সরিয়ে অবৈধভাবে ও অন্যায়ভাবে আমরা জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছে। শুনে আশ্চর্যান্বিত ও হতবাক হলাম। ডেভিল হান্ট চলাকালে জায়গা দখল করে কিভাবে? এটা নি:সন্দেহে ফৌজদারি অপরাধ। আমি যৌথবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আসলাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার যাতে প্রবাসীদের কোন সম্পত্তিতে লোলুপ দৃষ্টি না ফেলতে পারে। ইতিমধ্যে বিষয়টি ইমেইলে অবগত করেছি সিলেটের সম্মানিত মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, এডিশনাল পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ও ডিসি (ডিবি)’র সম্মানিত অফিসারদেরকে অবগত করেছি।