বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
বাড়ছে রিজার্ভ

বাড়ছে রিজার্ভ

নিউজ মিরর ডেস্ক

রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় ভর করে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। গত এক মাসের ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৯৫ কোটি ডলার। গত রোববার দিনের শুরুতে রিজার্ভ বেড়ে হয় ২ হাজার ১৯ কোটি ডলার, যা গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে নিট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ায় এবং আমদানির আড়ালে টাকা পাচার বন্ধ হওয়ায় দেশের রিজার্ভ বাড়ছে। এছাড়া দেশের বৈদেশিক মুদ্রা খরচ কমায় রিজার্ভে প্রভাব পড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে ফেব্রুয়ারিতে এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে চলতি মাসের আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধ করতে হবে। প্রতি দুই মাস পর পর এই দেনা পরিশোধ করা হয়। এর মাধ্যমে নয়টি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ দুই মাসের বাকিতে পণ্য আমদানি রপ্তানি করে। দুই মাস পর পর হিসাব করে দেনা-পাওনা সমন্বয় করে। আকুর মাধ্যমে বাণিজ্যে বাংলাদেশ প্রতি কিস্তিতে দেনা শোধ করে। কারণ, আকুর সদস্য দেশগুলোতে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করে। এবার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসের আকুর দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ আবার কমে ১৯ বিলিয়ন ডলারে নামতে পারে। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আকুর দেনা বাবদ পরিশোধ করা হয়েছিল ১২৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্সে রেকর্ড: বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে ফেব্রুয়ারিতে, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা হিসাবে)। সে হিসাবে দৈনিক গড়ে ৯ কো?টি ডলার বা এক হাজার ১১০ কো?টি টাকা রেমিট্যান্স এসেছে। এ ছাড়া গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২ কোটি ডলার। তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়া?রি পর্যন্ত ৮ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৮৪৯ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৩.৮০ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। তার পরের মাস আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বর মাসে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়া?রিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সে হিসাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের টানা ৭ মাস দুই বিলিয়নের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে দেশে।

ইতিবাচক রেমিট্যান্সে রিজার্ভে সুখবর
এদিকে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ইতিবাচক ধারায় বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০.৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সদ্যসমাপ্ত ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬.১৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১৩ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০.৯০ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৯০ কোটি ডলারে। তবে এ দুই হিসাবের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব রয়েছে, সেটি ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু আইএমএফকে প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ হিসাবে আইএমএফ’র এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের কিছুটা উপরে। -মানবজমিন

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo