নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ একলিম আবদিন (৫৩), প্রধান নিরাপত্তা মনিটরিং সুপারভাইজার রুহেল মিয়া (৫০), প্রধান নিরাপত্তা মনিটরিং সুপারভাইজার জাহিদুল ইসলাম সুহেল (৫২) গংদের আসামী করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটে মামলা দায়ের করেছেন ষড়যন্ত্রের শিকার, ডিউটি থেকে বঞ্চিত মোঃ আনসার আলী।
মামলার বাদী সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা সুপারভাইজার, নগরীর বাগবাড়ি নিবাসী মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মোঃ আনসার আলী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী মোঃ আনসার আলী ২০১৮ সাল হতে সুনাম ও দক্ষতার সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সুপার ভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিগত ০৮/০৭/২০২৪ইং তারিখে উপরোক্ত আসামীগণ যোগসাজশে মিলে একখানা চুক্তিপত্রের মাধ্যমে মোট ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নগদ গ্রহণ করে। পরে ২৩/০৯/২০২৪ইং তারিখে আরেকখানা ৩০০ টাকার জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিনামার মাধ্যমে উল্লখিত আসামীগণ ধোপাদিঘির পাড়ে ওয়াকওয়ে লিজ দেয়ার কথা বলে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নেয়। তারা সর্বমোট ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পরবর্তীতে বাদী উল্লেখিত টাকা ফেরত চাইলে তারা গত ২৩/০১/২০২৫ ইং তারিখে আসামী মোঃ রুহেল মিয়ার নামীয় মোবাইল ০১৭১২ ১৪২১৭৭ নাম্বার হতে বাদীর বিকাশ নাম্বারে ১ হাজার ৫শত টাকা পাঠায়। বাকী টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে তারা মামলা মোকদ্দমা দেয়ার কথা বলে উল্টো হুমকী দেয় এবং গত ০৩/০২/২০২৫ ইং তারিখ হতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামীগণ বাদীর ডিউটি বন্ধ করে দেয়। বাদী বিষয়টি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিত ভাবে জানান। পরে ০৯/০২/২০২৫ ইং তারিখে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এর কাছেও বাদী একখানা লিখিত অভিযোগ দেন। এরপরও আসামীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় বাদী গত ২৩/০২/২০২৫ইং তারিখে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধন কর্মসূচির সংবাদটি সিলেট স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
টাকা ফেরত না পেয়ে এবং ডিউটি করার সুযোগ না দেয়ায় বাদী আনসার আলী নিরুপায় হয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সিলেটে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং সদর সিআর মামলা নং ৩১২/২০২৫।
মামলা দায়েরের পর থেকে মোবাইলে বাদীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী-ধামকী দিচ্ছে এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ডিউটি করারও সুযোগ দিচ্ছে না। বর্তমানে বাদী নিজে ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বাদী আনসার আলী তার বকেয়া বেতন পরিশোধ, পুনঃরায় ডিউটির সুযোগ দেয় এবং আসামীদের কাছ থেকে উপরোক্ত টাকা উত্তোলন করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।