জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
জৈন্তাপুরে দূর্বৃত্তদের হামলায় এক শিক্ষক গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষকের নাম এম এ করিম (৩৫)। তিনি সারিঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজির শিক্ষক এবং উপজেলার বাউরভাগ মৌল্লিফৌদ গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। এ ঘটনার সময় তার মালিকানাধীন জৈন্তাপুর স্টেশন বাজারের জহুরা ফার্মেসীতে ভাংচুর চালায় দূর্বৃত্তরা।
জানা যায়, সোমবার (১০ই মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪ টায় আহত শিক্ষক আবদুল করিম তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসা ছিলেন। এ সময় স্থানীয় ডিআই চালক জাহেদ তার সহযোগীদের নিয়ে ইউনুস আলি নামে এক যুবকের সাথে স্টেশন বাজার এলাকায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ইউনুস জাহেদ গং দের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রাণ ভয়ে করিমের ফার্মেসীতে এসে অবস্থান নেয় সেই ছেলে।
এ সময় শিক্ষক করিম ইউনুসকে রক্ষা করতে জাহেদ ও তার সহযোগীদের প্রতিরোধ করতে আসলে তারা করিমের ওপর তারা চড়াও হয়। এ সময় তারা শিক্ষক করিম সহ ইউনুসকে মারধর করে ফার্মেসীতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা করিম ও ইউনুসকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক করিমকে সিলেট এম এ জি ওসমানী ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এদিকে শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে বাসস্ট্যান্ডে সাধারণ মানুষ জোড়ো হতে দেখা যায়।
ইফতারের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ও ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সবাইকে ধৈর্য্য ধারণ করার আহবান জানান। সেই সাথে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এটা খুবই নিন্দনিয়। ইতিমধ্যে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।