বিশেষ প্রতিবেদক
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক করায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে। তারা ধিক্কার জানাচ্ছেন দলের জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দকে। একের পর এক ডেবিলদের হলফনামা প্রকাশ পাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিএনপির রাজনীতিকে কলঙ্কিত করতে এসব ডেভিলরা আওয়ামী লীগের এজেন্ট হয়ে দলে যোগদান করছে। সিলেটে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬টি থানা শাখা কমিটি গঠনের পর অনুপ্রবেশকারিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পদবঞ্চিত নেতা কর্মীরা নগরীতে সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৬টি শাখা কমিটি বাতিলের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করছে।
জানা গেছে, গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জের রোটা: রাশেদুজ্জামান রাশেদ ছিলেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। সিলেট নগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন খাসদবির এলাকায় তার বর্তমান বসবাস। রাশেদুজ্জামান রাশেদ ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ সিরাজে অতি ঘনিষ্টজন। পলাতক সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামানেরও ছিলেন আস্তাভাজন ও একনিষ্ঠ ভক্ত। বিগত সিলেট সিটি নির্বাচনে আওয়ামী মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণাও চালান তিনি।
৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কিছুদিন নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান এই রাশেদ। সম্প্রতি তিনি আবার প্রকাশ্যে এসে শুরু করে দিয়েছেন বিএনপির রাজনীতি। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা থেকে হয়ে গেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা। সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদকে সম্প্রতি সিলেট বিমানবন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। আর এ নিয়ে শুরু হয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে হৈচৈ ও শোরগুল।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নামে সিলেট সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন জাল দলিল সৃজন করে সরকারি সম্পত্তি, চা-বাগানের জায়গা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের নামে রেজিস্ট্রারী করার ও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পট পরিবর্তনের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছেড়ে তিনি হয়ে গেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা।
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবিলম্বে জালিয়াত রাশেদুজ্জামান রাশেদকে স্বেচ্ছাসেবক দলের সিলেট বিমানবন্দর থানা আহ্বায়কের পদ থেকে অপসারনসহ তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছেন।