জাতীয় কবিতা পরিষদ সিলেট শাখার উদ্যোগে বৈশাখী কবিতা পাঠের আসর ও ঈদ পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার (২০ এপ্রিল ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গাল রাজবাড়ীর মোহন এডুকেশনে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নিপু মল্লিক।
সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম শহিদুল ইসলাম লিটন এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে কবিতা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মিহির মোহন, সহ-সভাপতি ধ্রব গৌতম, সহ সভাপতি অমিতা বর্দ্ধন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো.ফারুক হাসান সুজন, সহ অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক শরিফ গাজী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক এমরান ফয়ছল, পাঠকক্ষ সম্পাদক রোকসানা বেগম,সহ প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, তথ্য ও গ্রন্থনা সম্পাদক সুমাইয়া আফরিন,কবি, অনামিকা দাস,সদস্য ফুয়াদ বিন রশিদ প্রমুখ।
সভাপতি নিপু মল্লিক বলেন,পহেলা বৈশাখ জীর্ণ পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে এক নতুন সূর্যের আলোয় স্নান করে আসে। এই দিনটি বাংলা বছরের প্রথম দিন। গ্রাম বাংলার মাঠঘাট থেকে শুরু করে নগরের কংক্রিট-ঘেরা বুকে এই দিনটিই যেন সবচেয়ে প্রাণবন্ত, সবচেয়ে রঙিন। এই পহেলা বৈশাখ কি শুধুই উৎসব? না, এটি আমাদের পরিচয়ের, আত্মমর্যাদার একটি বলিষ্ঠ ভাষ্য। যেটি একসময় ছিল হিসাব-নিকাশের দিন, সেটি আজ পরিণত হয়েছে জাতীয় উৎসবে। এ রূপান্তর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ উৎসবের রূপান্তর মানেই এক জনগোষ্ঠীর মানসিক রূপান্তর। মেলা, বৈশাখী গান, আলপনা, মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা-ইলিশ— সব মিলিয়ে একটি সাংস্কৃতিক অভ্যুত্থান। তিনি আরও বলেন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বছরে দুটি ঈদ। তার মধ্যে একটি ঈদ আসে প্রতি বছর রমজান মাসের শেষে, ঈদুল ফিতর। মহা-উৎসবে আনন্দের সঙ্গে মুসলমানরা উদযাপন করেন এই দিনটি। ঈদ মানে খুশি বা আনন্দ। কেউ কেউ মনে করেন বর্তমান দিনের ঈদ উৎসবে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কেউ বলেন, ঈদ আনন্দে এসেছে নতুনত্ব। আবার কেউ বলেন, ঈদে আগের আনন্দটা এখন আর পুরোপুরি পাওয়া যায় না।-বিজ্ঞপ্তি