বিশেষ প্রতিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মইন উদ্দিন আর্দশ মহিলা কলেজ সিলেটের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্যকর অনিয়ম। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত চাকরি শর্তাবলী রেগুলেশন (সংশোধিত) ২০১৯-এর ১২ নম্বর ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতি তিন বছর অন্তর বিভাগীয় প্রধান পরিবর্তন করতে হবে এবং এই দায়িত্ব কলেজ গভর্নিং বডি কর্তৃক নির্ধারিত হয়।
কিন্তু এসব বিধানকে উপেক্ষা করে ঐ কলেজের শিক্ষক এনামুল হক চৌধুরী সুহেল বিগত ০৭ বছর ধরে (২০১৮ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত) সিলেট নগরের শামীমাবাদে অবস্থিত মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজে একটানা ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি রাজনৈতিক প্রভাব (আওয়ামীপন্থী পরিচয়) ও বিগত গভর্নিং বডির বিশেষ ব্যক্তিবর্গ-সাবেক সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ড. আহমেদ আল কবিরের-সহযোগিতায় এই অনিয়মকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহল বলছেন, এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ। কারণ, ৩ বছর অতিক্রম করার পর তাঁর ঐ পদে থাকার আর কোন সুযোগ নেই।নীতিমালা অনুযায়ী বিভাগের পরবর্তী সিনিয়র শিক্ষকদায়িত্ব পালন করতে হবে। এই অবস্থায় তাঁর দ্বারা প্রদত্ত স্বাক্ষর ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শিক্ষার্থীদের একাংশ ও অন্যান্য শিক্ষকরা দ্রুত এই অনিয়ম বন্ধ করে নিয়ম অনুযায়ী নতুন বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে এনামুল হক চৌধুরী সুহেল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি রেসপন্স করেননি। পরে তারঁ হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ দিলেও তিনি কোন রিপ্লাই দেননি।