নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির যুগ্ম সংগঠক ও ফান্ড সেলের সদস্য সুমাইয়া আক্তারকে (২২) ধর্ষনের হুমকির অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন সিলেট জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সালমান আহমদ খুরশেদ (২৭), যুগ্ম সদস্য সচিব ফখরুল হাসান (২৫) ও রেদোয়ান মুনসি (২৬)।
বুধবার মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে একই কমিটির যুগ্ম-সংগঠক সুমাইয়া আক্তার মামলটি করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুমাইয়া আক্তার।
সুমাইয়া আক্তার মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির একজন যুগ্ম সংগঠক ও ফান্ড সেলের সদস্য। ৬ এপ্রিল বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও ফান্ড সেল সম্পাদক সালমান আহমদ খুরশেদের নিকট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফান্ডের যাবতীয় জমা ও খরচের হিসেব চান সুমাইয়া আক্তার। সালমান আহমদ খুরশেদের কাছ থেকে এসবের কোনও সুদুত্তর পাননি সুমাইয়া। এদিকে হিসেবে চাওয়াতে খুরশেদের পক্ষ নিয়ে ফখরুল হাসান ও সৌরভসহ অনেকেই সুমাইয়াকে গালিগালাজ করেন এবং সুমাইয়াকে হিসেব দিতে তারা বাধ্য নন বলে জানান। সুমাইয়া ৫ সদস্যের ফান্ড কমিটির একজন মেম্বার।
একপর্যায়ে সালমান আহমদ খুরশেদ সুমাইয়া আক্তারকে জানান ৭ এপ্রিল যাবতীয় হিসেব নিকেস প্রদান করা হবে। যারা হিসেব দেখতে চান নগরীর সারদা স্মৃতি ভবন সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত সাধারণ ছাত্রদের অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য বলেন। এ অবস্থায় সুমাইয়া আক্তার তার মাকে সাথে নিয়ে যথাসময়ে উপস্থিত হন। এসময় ফান্ড সেলের সম্পাদক সালমান আহমদ খোরশেদ তার মোবাইল ফোন থেকে উপস্থিত সদস্যদের একটি গড়মিল হিসেব প্রদান করেন। কিন্তু এই হিসেবে সন্তুষ্ট হননি সুমাইয়া আক্তার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খুরশেদ এবং তার সাথে থাকা নূরুল ইসলাম, ফখরুল হাসান, রেদওয়ান আহমদ মুন্সিসহ ৭-৮ জন সুমাইয়া আক্তার ও তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং সুমাইয়াকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন একপর্যায়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন খুরশেদ ও তার সাথে থাকা লোকজন। পরবর্তীতে তিনি অফিস থেকে বের উক্ত বিষয়টি তার গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদেরকে অবগত করেন এবং সুমাইয়া তার নিকট লিখিত আকারে সম্পূর্ণ হিসেব দেওয়ার জন্য ফান্ড সেলের সম্পাদকের নিকট ম্যাসেজ দেন। এর পরই সালমান আহমদ খোরশেদ ও তার সহযোগীরা সুমাইয়াকে ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্নভাবে অনৈতিক কথাবার্তা ও ধর্ষণের হুমকি দেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সুমাইয়া আক্তার জানান, বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলা কমিটির অবৈধ আহ্বায়ক হলেন সালমান আহমদ খোরশেদ। আমাদের আহ্বায়ক হলেন আক্তার হোসেন। খুরশেদ ফান্ড সেলের সম্পাদক হওয়ার সুবাদে আমি তার কাছে ফান্ডের হিসেব চাই। এই কারণে তিনি ও তার সহযোগীরা আমাকে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি প্রদান করেন।
সুমাইয়া আক্তারের আইনজীবি মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।