নিউজ মিরর ডেস্ক
নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা ও টালবাহানা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি। আবারো ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে দলটি। বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, আজ তরুণদের সুনামি হয়েছে, তাঁরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।
সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। কারা আপনাদের প্রতিনিধি হবে সেটি আপনারাই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মনে হয় এরই ভেতরে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যত। জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্র্বতী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কারও কারও মনে হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন একটি স্লোগান দিয়েছেন। শ্লোগানটি ছিলো দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ… সবার আগে বাংলাদেশ।
তিনি তার বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে স্লোগানটি দেয়ার আগে দলীয় নেতাকর্মী ও দেশের মানুষকে এটি শুনতে এবং এরপর স্লোগানটি উচ্চারণের আহ্বান জানান।
সংস্কারের কথা বিএনপির আগে কেউ বলেনি উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭ বছর আগে ভিশন-২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২ বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান।
এই সরকারের (অন্তবর্তী সরকার) মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পচন ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এরা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয়, সেই অপরাধ আমরা বারবার করবো।
বিএনপির তিন সংগঠনের আয়োজনে নয়াপল্টনে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা দুইটার কিছু আগে এই সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে জড়ো হন।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের বিপরীতে সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করা হয়। মঞ্চের সামনের সড়কে কোনো যানবাহন চলেনি। আশপাশের বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় যানজট।