স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা মেজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিশুদের নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে হবে। ছোটবেলা থেকেই তাদের রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার শিক্ষা দিলে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে। শিশুদের সঠিক ধর্ম শিক্ষা দিলে তারা রাষ্ট্র, সমাজ ও দেশের প্রতি ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে মসজিদ ও মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে আরো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। তিনি শিশুদের নিজ ধর্মের শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার শিক্ষা প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর সুবিদবাজারস্থ পিটিআই অডিটোরিয়ামে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেট জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম-ষষ্ঠ পর্যায় প্রকল্পের অধীনে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সম্মানিত ট্রাস্টি সুদীপ রঞ্জন সেন এর সভাপতিত্বে কর্মশালয় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক সুবর্ণা সরকার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. নুরের জামান চৌধুরী, সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হাই, মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ষষ্ঠ পর্যায়ের উপ প্রকল্প পরিচালক মদন চক্রবর্তী, সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাখাওয়াত এরশেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ, নিহার রঞ্জন সেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেট কার্যালয়ের মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ষষ্ঠ পর্যায়ের মাস্টার্স ট্রেইনার কাম ফ্যাসিলিটেটর কিশোর কুমার আচার্য্য এর পরিচালনায় কর্মশালায় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রকল্প পরিচালক কিশোর কুমার মন্ডল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর দ্বিতীয় পর্বে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা দলীয় আলোচনার মাধ্যমে দলভিত্তিক সুপারিশ মালা উপস্থাপন করেন।