নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের বিন্নাকান্দি জামে মসজিদের জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা! আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি এই মসজিদের জমি দখল করেন। আওয়ামী লীগের এই ডেভিলের নাম মাষ্টার নজরুল ইসলাম। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা কয়েকবার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েও তার দলীয় প্রভাবের কিছুই করতে পারেন নি!
জানা গেছে, মাষ্টার নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগ সরকারের ছত্রছায়ায় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জোরপূর্বক উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি জামে মসজিদের পরিচলনা কমিটির সভাপতি হন। এরপর থেকেই নজরুল ইসলাম ও তার আপন ভাই জিয়াউল ইসলাম, মিছবাউল ইসলাম, ও তার চাচাত ভাই ফরিদ, আরিফ মসজিদের টাকা পয়সা, ফল, সবজি, মাছ ও জমি নিলামের নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে মসজিদের জমির ৩/৪ টি দাগের সাথে তাদের মালিকানা জমি থাকায় প্রতিটি ভূমির দাগ থেকে ৭/৮ শতক ভূমি তার জোরপূর্বক তাদের জমির সীমানায় অন্তর্ভুক্ত করে ভোগ করে আসছেন। আওয়ামী লীগের সময়ে গ্রামের লোকেরা এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মামলা-হামলার ভয় দেখানো হত। পট পরিবর্তনের পর সম্প্রতি গ্রামবাসী অবৈধ কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) গ্রামবাসী মসজিদ কমিটির লোকজন মসজিদের ভূমি সার্ভে (জরিপ) কারার জন্য সময় নির্ধারন করেন। ওইদিন বিকেলে সার্ভেয়ার ও গ্রামের লোকজন ভূমিতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের হামলার চেষ্টা করে। পরে গ্রামবাসী আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভূমি জরিপ না করে চলে যান এবং গোয়াইনঘাট থানায় নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে আরও ৫/৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকার মানুষ দ্রুত এ অন্যায়ের প্রতিকার এবং দখল হওয়া জমি জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা ভূমিখেকো মাষ্টার নজরুল ইসলামের কর্মকান্ডের প্রতি প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।
অভিযুক্ত ফতেহপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মসজিদের জমির পাশে আমারও জমি রয়েছে। এখানে মসজিদের কোনো জমি আমি দখল করিনি। মসজিদ কমিটির কিছু মানুষ তাদের মনগড়া তারিখ করে জরিপ করে আমার জমি মসজিদের জমি দাবি করে। তৃতীয় পক্ষ শালিসের মাধ্যমে যদি জমি জরিপ করা হয় তাহলে মসজিদ ও আমার জমির সঠিক সীমানা নির্ণয় হবে।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মহরম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে।