নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেটে নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেট বিভাগের কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বুধবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সিলেট বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, লোভাছড়া, জাদুকাটা, ঝালুখালি, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এর ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিম্নাঞ্চলীয় ও নদীসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।ঊুধবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, সেলোনিয়া, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালি খালের পানি সমতলে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী তিনদিনে এসব নদীর পানি সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। এতে ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একইভাবে রংপুর বিভাগের তিস্তা নদীর পানিও আগামী তিনদিন সমতলে বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।