নিউজ মিরর ডেস্ক
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ফেরীঘাটে সরকারী জায়গা দখল করে উপজেলা বিএনপি নেতা কয়েছ উদ্দিন মাস্টার দোকান নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েছ উদ্দিন মাস্টার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। তবে এই অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন কয়েছ। এ ঘটনা নিয়ে রানীগঞ্জ বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংর্ঘষ ঘটতে পারে বলো জানিয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়দের অভিডোগ, গেলো বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম শুক্রবার হঠাৎ করে রানীগঞ্জ বাজার ফেরীঘাটে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করেন ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন। এ সময় স্থানীয় তফসিল অফিস থেকে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলা হলেও তিনি আইন অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান।
জানা গেছে, রানীগঞ্জ বাজারে ফেরীঘাট বন্দোবস্তের আবেদনের আহবান করা হয়েছিলো। সে সময়ে এই জায়গা স্ক্যাচম্যাপও করে উপজেলা ভূমি অফিস। ওই বাজারের তিন জন ব্যবসায়ী ফেরীঘাটের জায়গার জন্য বন্দোবস্তের আবেদন করেন। এই বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা বিএনপি নেতা কয়েছ উদ্দিন জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেন। তিনি হঠাৎ করে ইট পাথর জড়ো করে শুক্রবার সকালে কাজ শুরু করে দেন। পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর রোববার জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঁইয়া’র নেতৃত্বে সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাস, পাইলগাঁও-রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া, ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মো. মহসিন আলী, অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম নজির সহ প্রশাসনের আরো কর্মকর্তারা সরকারী যায়গায় নির্মাণ করা দোকান ঘর ভেঙ্গে দেন।
অভিযোগ উঠেছে গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়াকে ম্যানেজ করে আবার নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করেন ওই বিএনপি নেতা। গেলো শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে ভাঙ্গা অংশে আবারও দোকানের কাজ শুরু করে। প্রতি সাপ্তাহের ছুটির দিন শুক্রবার-শনিবার দোকান নির্মানের কাজ চলে।
রাণীগঞ্জ বাজার সেক্রেটারি আবুল কাশেম জানান, নদী চর দেওয়া জায়গায় বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন মাস্টার কিছু সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন। এখানে সরকারি জায়গার পাশে তার নিজস্ব কিছু অংশ রয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন মাস্টার জানান, সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে তার জানা নেই। কে-বা কারা তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা প্রচার করছে।
বার বার নিষেধ দেওয়ার পরও এখানে আইন অমান্য করে নির্মান কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন পাইলগাঁও-রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া। তাকে ম্যানেজ করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এবিয়টি সর্ম্পুণ মিথ্যা। এর আগে এসিল্যান্ড এসে এই সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করেছেন।
সরকারী জায়গায় দখল করে দোকান কোঠা নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বরকত উল্লাহ। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।