নিজস্ব প্রতিবেদক
ওসমানীনগরের মাইজগাঁও এলাকায় রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মো. আকবর আলী নামক এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। গত বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের সিকন্দরপুরের মাইজগাঁওে এঘটনা ঘটে। আজ বুহস্পতিবার দুপুরে গুরুতর আহত মো. আকবর আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট বুধবার সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে একই গ্রামের পছন উল্লাহ’র ছেলে মো. নিলু মিয়া, রুনু মিয়া, আনু মিয়া ও রুহান মিয়া এবং মৃত সোনা উল্লাহ’র ছেলে পছন উল্লাহ হত্যার উদ্দেশ্যে মো. আকবর আলীর উপর সংবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এই বিষয়য়ে আহতের চাচাত ভাই মৃত মো. ইন্তাজ আলীর পুত্র মো. আক্তার আলী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাদের ঘরের সামনের রাস্তার সাথে একটি পুরাতন মাটির ঘর ছিল। যা হঠাৎ করে বাতাসে ভেঙ্গে পড়ে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্রে করে গত ২৭ আগস্ট বুধবার সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার ১নং উমরপুর ইউনিয়নের সিকন্দরপুর মাইজগাঁও এলাকার পছন উল্লাহ’র ছেলে মো. নিলু মিয়া, রুনু মিয়া, আনু মিয়া ও রুহান মিয়া এবং মৃত সোনা উল্লাহ’র ছেলে পছন উল্লাহ হত্যার উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধারালো দা, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠি-সোঠা নিয়ে আমাদের বসত ঘরের সামনে এসে আমাদের ডাকা ডাকি শুরু করেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমরা ঘর থেকে বাহিরে আসা মাত্র আসামীগণ আমার চাচাতো ভাই মো. আকবর আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তালুতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এই সময়ে সে মাটিতে লুটে পড়লে এলোপাথারি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে। এসময় ওর চাচা ফজর আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করিলে তিনিও রক্তাক্ত হয়ে মাটি পড়ে যান। জখমের ফলে তারা দুই জন মাটিতে পড়িয়া গেলে সবাই মিলে এলোপাথারি মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা জখম করে।
অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া।