নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা এমাদ উদ্দিন এনামকে (৪০) কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে একদল চিহ্নিত চোরাকারবারী ও মাদক ব্যবসায়ী। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার নিয়াগুল গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে যুবদল নেতা এমাদ উদ্দিন এনাম রতনগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি মুন্সিবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। মুন্সিবাজারে কেনাকাটা শেষে তিনি নিয়াগুল গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। নিয়াগুল গ্রামে পৌছামাত্র পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওঁৎপেতে থাকা রুবেল ওরফে আলুয়া রুবেলের নেতৃত্বে কয়েস, সাইফুল, রুয়েল ও মুজিব দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এনামের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এনামের আত্মচিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা একটি রাম দা ও একটি কাঠের রুল ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় এনামকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, ৪ সেপ্টেম্বর যুবদল নেতা এনাম রুবেল বাহিনীর চোরাচালান নিয়ে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় বক্তব্য প্রদান করেন এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছেও মৌখিক অভিযোগ করেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর জের ধরেই এনামকে টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার শিকার এমাদ উদ্দিন এনামের ছোট ভাই জানান, প্রতিবাদ করার কারণেই তার ভাইয়ের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। তারা বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুবদল সবসময় সমাজের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনি অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।