বিশেষ প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন সাহসী সৈনিক হিফজুর রহমান। উপজেলা ছাত্রদলের সাহসী কর্মী হিসেবে বারবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। দলের জন্য তার উপর হামলা ও মামলাও হয়েছে অনেক। তিনি দলের একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি সিলেট জেলা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহবায়ক হিফজুর রহমান। দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। গত বুধবার তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। দুটি কিডনি ডেমেজ, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে পানি, রক্তশূন্যতাসহ মরণব্যধি নানান রোগে আক্রান্ত তিনি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন।
হিফজুরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। এসব খরচ তার পরিবার একার পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিবার তার চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। হিফজুরের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারটিতে বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। এই বিকাশ নাম্বারে +8801711484740 সহযোগিতা করতে পারেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকি তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। এটি একটি ভুল তথ্য। এটি প্রচারের কারণে হিফজুরের ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার ও স্বজনরা। তারা মন্তব্য করছেন, একটি পক্ষ হিফজুরের জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতি করছে!
অনেকেই মিফতা সিদ্দিকি হিফজুরের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। তাহলে, তিনি একাই তার চিকিৎসার খরচ বহন করবেন, এমন ভেবে তার পাশে কেউ সহযোগীতার হাত বাড়াচ্ছেন না!
হিফজুরের পরিবার সূত্রে আরো জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকি মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কাছে হিফজুরের চিকিৎসার খরচে ৫০% ডিসকাউন্ট করে দিয়েছেন। এবং প্রয়োজনে আরো সহযোগীতা করবেন। এই বিষয়টি কিছু অতি উৎসাহী লোকজন প্রচার করছেন ভিন্নভাবে। যে, অসুস্থ হিফজুরের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন মিফতা সিদ্দিকি!
হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকি বিষয়টি নিয়ে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রাগীব আলীর সাথে যোগাযোগ করেন। পরে রাগীব আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিফজুরের চিকিৎসার খরচে ৫০ ভাগ ডিসকাউন্ট করার জন্য বলেন।
জানা গেছে, এখনও সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশে ৩টি ফার্মেসিতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বিল বাকি রয়েছে। রোগ নির্নয়ে তার বিভিন্ন টেস্টের জন্য টাকা কাছের কিছু লোকজন দিয়ে সহযোগীতা করছেন।
বিষয়টি জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকি’র মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তার মুঠোফোন ব্যস্ত দেখায়। দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি তার নির্বাচনী এলাকা জৈন্তাপুরে একটি সমাবেশে গিয়েছেন।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী বলেন, আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে হিফজুরের চিকিৎসার জন্য অনেকের সহযোগীতা চেয়ে বাধাগ্রস্থ হয়েছি। ”অসুস্থ হিফজুরের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন মিফতা সিদ্দিকি (ভাই)। এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার কারণে হিফজুরের চিকিৎসায় কেউই হাত বাড়াচ্ছেন না। তারা বলেন, কিছু অতি উৎসাহী লোকজন এসব প্রচার করছেন। তারা বুঝতে পারছেন না, তারা মিফতা ভাইয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে হিফজুরের ক্ষতি করছেন। তারা নিজের স্বার্থে হিফজুরের জীবন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করছেন রাজনীতি! বরং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধন্যবাদ দেয়া প্রয়োজন সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রাগীব আলীকে।
তারা আরো বলেন, হিফজুরের চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এসব খরচ তার পরিবার একার পক্ষে করানো সম্ভব হচ্ছে না। আমি দেশ-বিদেশের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, দলীয় নেতা কর্মী, বড়ভাইসহ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং সহযোগীতা চাচ্ছি। হিফজুরের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। এই বিকাশ নাম্বারে +8801711484740 সহযোগিতা করতে পারেন।