শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
মুন্সিপাড়ায় ৩নং ওয়ার্ড মহিলা দলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ১৯-২২ সেপ্টেম্বর ত্রয়োদশ সম্মেলন উপলক্ষে সিপিবি সিলেট জেলার কর্মীসভা ১৫ বছর এদেশের মানুষ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কাছে নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছে: কয়েস লোদী ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে বিশ্বনাথে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের র‌্যালী ও পথসভা যুবদলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূলের ভূমিকা অপরিসীম: অ্যাড মোমিন ১২ জন নারী উদ্যোক্তাকে অপরাজিতা অ্যাওয়ার্ড দিলো বুম বক্স কমিউনিকেশন্স নারীরা দেশের অর্থনীতির বড় হাতিয়ার: সাবেক মেয়র আরিফ মৌলভীবাজার সমিতি সিলেটের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান সম্পন্ন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের উপর হামলার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল সিলেটে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ইউসিবি’র হজ্জ এজেন্সি সম্মেলন সম্পন্ন সিলেট রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দম্পতির পেশেন্ট ট্রান্সফার ট্রলী প্রদান
হবিগঞ্জে ভুয়া জামিননামায় কারাগার থেকে ছাড়া হল ৪ আসামি

হবিগঞ্জে ভুয়া জামিননামায় কারাগার থেকে ছাড়া হল ৪ আসামি

https://newsmirror24.news/

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জে ভুয়া জামিননামা দিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে গেল মাদক মামলার ৪ জন আসামি। যা নিয়ে হবিগঞ্জের আদালতপাড়াসহ সর্বত্র এখন চলছে নানা ধরণের আলোচনা ও সমালোচনা। ভুয়া জামিননামা দিয়ে বের হওয়া মাদক মামলার আসামিরা হল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার শিমুলগঞ্জ গ্রামের আব্দুল কদ্দুছ মিয়ার ছেলে রুয়েল মিয়া, একই উপজেলার কিরণ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জগন্নাথপুর উপজেলার পাগলা গ্রামের সজলু মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার কিরগাও গ্রামের লেবু মিয়ার ছেলে সুয়েব মিয়া।

জানা যায়, ৬ জানুয়ারি জেলার মাধবপুর উপজেলায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে উল্লেখিত ৪ মাদক কারবারি। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মাদক কারবারিদের আইনজীবী এডভোকেট ফয়সল আদালতে বেশ কয়েকবার তাদের জামিন আবেদন প্রার্থনা করেন। কিন্তু আদালত তাদেরকে জামিন দেননি। সবশেষে গত ২৬ জানুয়ারিও তাদের জামিন আবেদন করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তারা জামিনে বের হয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে (৩০ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার এডভোকেট ফয়সল আদালতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নিশ্চিত হন তার আসামিরা ভুয়া জামিননামা তৈরি করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তারা ছাড় পেয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট ফয়সল জানান, উল্লেখিতদের ম্যজিস্ট্রেট ও জজ কোর্টে জামিন চেয়ে পাইনি। পরবর্তীতে আমি হাইকোর্টে কাগজপত্র পাঠাতে চাইলে তার স্বজনরা জানায় হাইকোর্টে কাগজপত্র পাঠানোর কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের লোকজন জামিন নিয়ে বের হয়ে গেছে। এ বিষয়টি জানার পর আমি হতভম্ব হয়ে পরি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখি ভুয়া জামিননামা তৈরি করে জিআরও অফিসের মাধ্যমে তা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।

জানতে চাইলে হবিগঞ্জ কোর্ট ইন্সপেক্টর (ওসি) নাজমুল হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর থেকেই আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। কে জামিননামা দিল আবার কিভাবে সেটা কারাগারে গেল তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি জানার পর আপনাদের জানাতে পারব। এছাড়াও এ ঘটনায় জিআরও অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, প্রতিদিনকার নিয়মেই আদালত থেকে আমাদের কাছে জামিননামা আসে। সেই অনুযায়ী বন্দিরা ছাড়া পায়। তবে সেটি ভুয়া জামিননামা ছিল এ বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

 

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
ThemesBazar-Jowfhowo