মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০২:৪৬ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
সাড়ে ৭০০ বছর ধরে শাহজালাল মাজারে চলছে গণইফতার

সাড়ে ৭০০ বছর ধরে শাহজালাল মাজারে চলছে গণইফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে সাড়ে ৭০০ বছর ধরে চলে আসছে গণইফতার। প্রতিবছরই প্রথম রমজান থেকে শুরু হয় এই গণইফতার কর্মসূচি। গণইফতারে এক কাতারে মিলিত হোন ধনী-গরিব সবাই। প্রতিদিন তিন শতাধিক রোজাদার এতে অংশ নেন।

ইসলামের আলোকবর্তিকা ছড়াতে ৩৬০ সঙ্গী নিয়ে সাড়ে ৭০০ বছর আগে সিলেট অঞ্চলে আসেন হযরত শাহজালাল (র.)। রাজা গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ইসলামের পতাকা উড়ান তারা।

হযরত শাহজালাল ও তার সঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার হাত ধরে এ অঞ্চলে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ে। শাহজালাল সিলেটে গড়ে তোলেন আস্তানা। আর সে সময় থেকেই তিনি প্রতি রমজানে ভক্ত আশেকানদের নিয়ে ইফতারের প্রচলন শুরু করেন। যা চলছে আজও।বর্তমানে শাহজালাল মাজারে প্রতিদিন তিন শতাধিক রোজাদারকে ইফতার করানো হয়।

খিচুড়ি, বিরিয়ানি থেকে শুরু করে গরুর কিংবা মুরগির মাংস, ছোলা, পেয়াজু, জিলিপী, খেজুরে আপ্যায়িত করা হয়। পেট ভরে ইফতার করতে পেরে রোজাদারও তৃপ্তি প্রকাশ করেন।

ভক্ত আশেকানদের দান আর মাজার কর্তৃপক্ষের টাকায় সাড়ে ৭০০ বছর ধরে চলে আসছে সিলেটের সর্ববৃহৎ এই গণইফতার। ভক্তরা রমজানের প্রতিদিনই নামাজ, মাজার জিয়ারত শেষে যোগ দেন গণইফতারে। গণ ইফতারে অংশ নিয়ে তৃপ্ত হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্ত আশেকানরা।

ভক্ত-আশেকানদের মতে, শাহজালাল (র.) মাজারে ইফতার করা শুধু পেটের ক্ষুধা মেটানো নয়, বরং এক আত্মিক প্রশান্তির উৎস। অনেকেই মনে করেন, এই পবিত্র স্থানে ইফতার করার মাধ্যমে তারা আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করেন। এভাবে বছরের পর বছর ধরে হজরত শাহজালাল (র.) মাজারে চলে আসছে গণইফতারের এই ঐতিহ্য, যা সিলেটসহ সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছে।

মাজার কর্তৃপক্ষ জানান, হযরত শাহজালালের মাজারে মানত নিয়ে আসা ভক্তদের সুবিধার জন্যই এ গণইফতারের আয়োজন করা হয়। তাদের দান আর মাজার কর্তৃপক্ষের টাকায় চলে আসা এ আয়োজনে প্রতিদিন শত শত ধনী-দরিদ্র এক কাতারে বসে ইফতার করেন।

হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের খাদেম শামুন মাহমুদ খান বলেন, গণইফতারের এ ঐতিহ্য সাড়ে ৭০০ বছর ধরে চলে আসছে। হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে এই ইফতার আয়োজন শুধু একটি খাবার গ্রহণের অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি মানবিকতা, সাম্য ও সৌহার্দ্যের এক অনন্য উদাহরণ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অসংখ্য মানুষ এখানে ইফতারের অংশ নেন, যা ইসলামের শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে আরও দৃঢ় করে। ধনী-দরিদ্র এক কাতারে ইফতারের দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় ইসলামে নেই কোনো ভেদাভেদ।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo