নিউজ মিরর ডেস্ক
আসন্ন যুবদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। শীর্ষ পদ, বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে এক ডজনেরও বেশি নেতা জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুল হক এনাম, যিনি সরকারবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন।
এনামুল হক এনাম কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে তাকে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ছয়টি রাজনৈতিক মামলার আসামি হতে হয়েছে। সম্প্রতি স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে সিলেটের রাজপথে তিনি পুলিশের গুলিতে আহত হন। এছাড়া, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কালিগঞ্জ বাজারে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের মামলাতেও তিনি আসামি ছিলেন।
দলের দুর্দিনে তার এসব ত্যাগ ও ভূমিকার কারণে সাধারণ নেতাকর্মীরা তাকেই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান। তৃণমূলের কর্মীরা মনে করেন, যারা দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন এবং জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, কমিটিতে তাদেরই মূল্যায়ন করা উচিত। এই দাবিতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সোচ্চার এবং সিলেট জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতাকর্মী বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন অনেক ‘অতিথি পাখি’ দলে ঢুকতে চাইছে। যারা দলের দুর্দিনে মাঠে ছিলেন না, তারাই এখন নিজেদের ত্যাগী পরিচয় দিয়ে পদ পেতে আগ্রহী। আমরা চাই এনামুল হক এনামের মতো যারা রাজপথে গুলি খেয়েছেন, তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা হোক।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী এনামুল হক এনাম বলেন, আমি পরিবার ও ব্যক্তিগত স্বার্থের চেয়ে দলকে সবসময় বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আওয়ামী দুঃশাসনে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলা ও পুলিশের গুলির শিকার হয়েছি, কিন্তু দলকে আঁকড়ে ধরে রেখেছি। আশা করি, জেলা নেতৃত্ব ত্যাগী ও পরীক্ষিত কর্মীদের নিয়েই কমিটি গঠন করবেন, যেখানে কোনো সুযোগ সন্ধানী বা অনুপ্রবেশকারীর স্থান হবে না।