শুক্রবার, ২৫ Jul ২০২৫, ০৩:২১ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারেক রহমানের প্রতি প্রবাসীর খোলা চিঠি সিটিজেন সলিডারিটি মুভমেন্ট’র মিলাদ ও দোয়া মাহফিল সৈয়দ হাতিম আলী স্কুল এন্ড কলেজে শোক দিবস পালিত ঢাকায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় কাজী ইলিয়াস ইউনিট বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের দোয়া সিলেটে ছাত্রলীগের আহাদকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ দলীয় নেতাকর্মীদের ভালবাসায় শিক্ত হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা কাজী ওয়াহিদ কোম্পানীগঞ্জে ইজারা বহির্ভূত এলাকায় বালু উত্তোলন, সড়ক অবরোধ আড়াই কোটি টাকার ভারতীয় চোরাচালান ধরলো বিজিবি সাংবাদিক তুরাব হত্যা : সিলেটের ডিসি’র কাছে ফটো জার্নালিস্টদের স্মারকলিপি প্রদান ভোলাগঞ্জে বাঙ্কার খুঁড়ে পাথর তুলতে গিয়ে আরেক শ্রমিকের মৃত্যু
যুক্তরাজ্য পাঠানোর নামে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

যুক্তরাজ্য পাঠানোর নামে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ

নিউজ মিরর ডেস্ক
ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যুক্তরাজ্য পাঠানোর নামে সিলেটে ৬ জনের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে স্ট্যাম্পে লিখে ২ লাখ করে ১২ লাখ এবং পরে কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়া আরও ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। বিনিময়ে ওই প্রতারক হোয়াটসঅ্যাপে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এডিট করে পাসপোর্টে ভুয়া ভিসা সেঁটে ভুক্তভোগিদের কাছে পাঠায়। এতে ভেঙে যায় ওই ৬ জনের ইউরোপের স্বপ্ন। প্রতারণার বিষয়টি ধরতে পেরে প্রতারকের কাছে বার বার ধর্ণা দিয়েও টাকা উদ্ধার করতে পারছেন না ভুক্তভোগিরা। বাধ্য হয়ে সম্প্রতি আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর এলাকার বাসিন্দা এস কে আজাদ আমিন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন- সিলেট মহানগরের কুয়ারপাড় এলাকার ইঙ্গুলাল রোডের ৩৭ নং বাসার বাসিন্দা সৈয়দ সাইফুর রহমানের ছেলে সৈয়দ উবায়দুর রহমান ২০২২ সালে আজাদ আমিন ও তার আরও ৫ আত্মীয়কে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যুক্তরাজ্য পাঠানোর লোভ দেখান। এসময় প্রথম পর্যায়ে তিনি ৬ জনের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা করে ১২ লাখ টাকা নেন এবং এ বিষয়ে একটি লিখিত স্ট্যাম্পও করেন। কিন্তু ওই সময় উবায়দুর মৌখিকভাবে এই ৬ জনকে বলেন- ভিসা হওয়ার পরই আরও ৮ লাখ করে দিতে হবে এবং এসব টাকা নগদ হাতে হতে প্রদান করতে হবে। তার মূল বাড়ি ওসমানীনগরে হওয়ায় যুক্তরাজ্য যেতে ইচ্ছুকরা সরল বিশ্বাসে উবায়দুরের হাতে বাকি টাকা তুলে দেন। তবে এর আগে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে এডিট করে পাসপোর্টে ভুয়া ভিসা সেঁটে এই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান তিনি। এটি দেখে বিশ্বাস করেই ওই ৬ জন তার হাতে টাকা তুলে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে পাসপোর্ট তার হাতে রেখে ওই ৬ জনের যুক্তরাজ্য যাওয়ার তারিখ নিয়ে নানা টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে কুরিয়ার সার্ভিসে ৬ জনের পাসপোর্ট পাঠালে ভুক্তভোগিরা হাতে পেয়ে দেখেন- পাসপোর্টে কোনো ভিসা লাগানো নেই। তখন প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে এবং উবায়দুরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানতে চান। তখন তিনি নানা মিথ্যা গল্প বলেন। তবে পরবর্তীতে টাকা ফিরিয়ে দিবেন বললেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা প্রদান করেননি। এমনকি ১২ লাখ টাকার কয়েকটি ব্যাংক-চেক দিলেও এসব অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা ছিলো না। ফলে চেকগুলো ফেরত আসে।

এই অব্স্থায় বাধ্য হয়ে সম্প্রতি ভুক্তভোগী আজাদ আমিন বাদী হয়ে উবায়দুরের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা এবং আরেকটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন।

আজাদ জানান- প্রায় ১ বছর ধরে উবায়দুল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায় না। তবে তার বাবা বার বার বলেন- ভুক্তভোগিদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

আজাদ বলেন- সাংবাদিকদের মাধ্যমে উবায়দুলের মুখোশ উন্মোচন হোক- এটাই চাই। আর সহজ-সরল কেউ যাতে উবায়দুলের প্রতারণার শিকার না হন, এজন্য সিলেটবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
ThemesBazar-Jowfhowo