বিশেষ প্রতিবেদক
দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) অপসারিত আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা। এরিমধ্যে অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কেউ কেউ দেশেই রয়েছেন ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’। তবে তারা শান্তিতে নেই।
আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে বেশীরভাগ ফেরারি। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারও হয়েছেন সাবেক তিন আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলর। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকায় শান্তিতে নেই দেশের ভেতরে থাকা পলাতকরা।
সর্বশেষ ১৩ নভেম্বর মহানগরীর মোগলাবাজারের শ্রীরামপুর এলাকা থেকে ৪২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। ২৩ অক্টোবর মহানগরীর উপশহর এলাকা থেকে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাক আহমদকে গ্রেফতার করে র্যাব। আর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ১০ দিনের মাথায় ১৫ অক্টোবর মহানগরের মিরাবাজার এলাকা থেকে ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মো. তৌফিক বক্স লিপনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। ২৩ নভেম্বর ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সিসিকসহ দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গত বছরের ২১ জুন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৪২ ওয়ার্ডের মধ্যে আওয়ামীপন্থী বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী জয় পান।
আওয়ামীপন্থী এসব কাউন্সিলররা হলেন- ২ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিক্রম কর সম্রাট। ৫টি মামলার আসামী আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক ছাত্রলীগ (নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন) নেতা আবুল কালাম আজাদ। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক যুবলীগের কর্মী শেখ তোফায়েল আহমেদ। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাশ। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. মখলিছুর রহমান। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন) সাবেক নেতা তারেক উদ্দিন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কৃষক লীগের সিলেট মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সিকন্দর আলী। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য শান্তনু দত্ত। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা রাশেদ আহমদ। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে আজাদুর রহমান আজাদ। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলে রাব্বি চৌধুরী।
২৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ। ২৫ নম্বরে ওয়ার্ডে তাকবির ইসলাম পিন্টু। তিনি আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ তৌফিক বকস। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন) সভাপতি রুহেল আহমদ। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন) সাবেক সভাপতি হিরন মাহমুদ। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে হেলাল হাজি। তিনি আওয়ামী লীগপন্থী হিসেবে পরিচিত।