নিউজ মিরর ডেস্ক
দায়িত্বরত অবস্থায় সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই ইলিয়াস আলীর ওপর রুবেলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় এখনও রুবেল ও তার সহযোগী হামলাকারীরা আটক হয়নি। তবে, এ ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩ মার্চ) তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাড়ির (এএসআই) ইলিয়াসুর রহমান বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪/২৫। ধারা: ১৮৬০ সনের পেনাল কোড আইনের ১৪৩- ১৮৬, ৩৩২, ৩৫৩, ৩০৭, ৫০৬।
এজাহারে উল্ল্যেখিত আসামীরা হলেন,দক্ষিন সুরমা থানার বরইকান্দি ১০ নং রোডের হোসপন আলীর ছেলে বন্দরবাজারের হকার নাহিদ (২৩), লিটন (৩০) বন্দরবাজার হকার, স্বপন (২৫) বন্দরবাজার হকার।
বাদীর এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী রাত ৮ ঘটিকার সময় হকার এবং সিলেট মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দীপ চৌধুরী মাধবের মধ্যে গন্ডগোল সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে বাদী সঙ্গীয় ফোর্স সহ জিন্দাবাজার পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করেন। এসময় এজাহারে উল্ল্যেখিত ১, ২ ও ৩নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা রাস্তা ছেড়ে না দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা ও জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
এসময় বাদী তাদেরকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলে ১ ২ ও ৩নং আসামী আচমকা পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করে এবং বাদীকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ অসৌজনমূলক কথা বলতে থাকে।
১ ২ ও ৩নং আসামী উপস্থিত অন্যান্য হকারদেরকে উত্তেজিত করে এবং একপর্যায়ে ১ ২ ও ৩নং আসামী উত্তেজিত হয়ে বাদীর সাথে উশৃঙ্খল মারমুখি আচরণসহ বাদীকে ধাক্কা দেয় এক পর্যায়ে আসামীরা বাদীসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে জখম ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
ঘটনাস্থলে স্থাপনকৃত সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা পূর্বক আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ সহ গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এবং বাদী ও বাদীর সঙ্গীয় ফোর্স সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ শেষে উক্ত বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্ল্যেখ করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী এএসআই ইলিয়াস আলী বলেন, রুবেলের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। দায়িত্বরত অবস্থায় আমার ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাই আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। হামলাকারীদের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই ইবাদুল্লাহ বলেন, হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হচ্ছে। হামলার সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকুক, তাকে আটক করা হবে।
এ বিষয়ে এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার শাহরিয়ার আলম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হবে।