মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল সিলেট, হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল সিলেট, হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট

নিউজ মিরর ডেস্ক
কোনো ধর্ম বিভেদ নয়। আজ প্রতিবাদ হচ্ছে মানুষের জন্য। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে সোচ্ছার হয়ে ওঠেছেন পূণ্যভূমি সিলেটের মানুষ। সোমবার (০৭ এপ্রিল) গাজায় গণহত্যা বন্ধের প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জনতা।

ঘড়ির কাটায় দুপুর গড়িয়ে। সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্টে আসতে থাকে জনতার খন্ড খন্ড মিছিল। এক সময় কোর্ট পয়েন্ট দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

বিক্ষোব্ধ জনতা একে একে বক্তৃতা করেন এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিশ্বনেতাদের ভৎসনা করে বলেন, মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বমুড়লরা গলা ফাটিয়ে চিল্লাফাল্লা করেন। গাজার গণহত্যার বেলায় তাদের নিস্ক্রিয়তা কেন। আরব দেশগুলো এই গণহত্যায় নিশ্চুপ ভূমিকা রাখায় দুঃখ প্রকাশ করে বক্তারা।

বক্তৃতা পরবর্তীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বান ও সেসব পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান কেএফসি, বাটা ও অভিজাত শপিং মল ইউনিমার্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, নগরের মীরবক্সটুলা বিক্ষোব্ধ জনতা কেএফসিতে ভাঙচুর করা হয়। এসময় কেএফসির মালামাল বাইরে এনে বিক্ষোব্ধ জনতা চুরমার করেন। ভাঙচুর করা হয় নব নির্মিত রয়েল মার্কস হোটেলও। ভবনের গ্লাসগুলো ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি কেএফসি’র আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রিক সামগ্রি টিভি, ফ্রিজ, ওভেনসহ সবকিছু বাইরে বের করে ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় ইসরায়েলি পণ্য কোকাকোলো, স্প্রাইটসহ কোমল পানীয় রাস্তায় ফেলে ধ্বংস করেন জনতা।

বাটার সব ক’টি শো-রুমেও ভাঙচুর করেছে বিক্ষোব্ধ জনতা। তবে শপিংমল ইউনিমার্টে ভাঙচুরকালে সেনা বাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করে। এসময় ইউনিমার্টের সামনে সেনা সদস্যদের নিরপত্তা দিতে দেখা গেছে।

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় এবং বিক্ষোব্ধ জনতাকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

বেলা ৩টার দিকে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ আহমদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে গেলেও ভাঙচুর বন্ধ করতে পারেননি। তবে তার কথার প্রেক্ষিতে জনতা পাশ্ববর্তী চৌহাট্রা চত্বরে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

এছাড়া নগরের আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোব্ধ জনতা বিভিন্ন দোকান থেকে ইসরায়েলি পণ্য কোকাকোলা, স্প্রাইটসহ বিভিন্ন ধরণের কোমল পানীয় ধ্বংস করেন।

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার বিশ্বব্যাপী হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়েছে নিপীড়িত গাজাবাসী। গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের সব দেশে একযোগে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

গাজাবাসীর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ইংরেজি অক্ষরে ছবিতে লেখা রয়েছে, ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপস’ অর্থাৎ গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কাজ ও স্কুল বন্ধ। ’ ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, সংহতি জানাই। আগামীকাল তথা আজ ৭ এপ্রিল ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে যোগ দিন। ’

তাঁর এই ডাকে সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমেছে বিক্ষোব্ধ জনতা। ক্ষোভ ঝেড়েছেন ইসরায়েলি পণ্য ভাঙচুর ও বয়কট করে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo