বিশেষ প্রতিবেদক
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের সদ্য অপসারিত কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। তিনি সিসিকের দায়িত্ব ফেলে বৃটেনে পালিয়ে যাওয়া অপসারিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর একান্ত আস্তাভাজন ছিলেন। বিগত ২০২৩ সালে ২১ জুন বিএনপি বিহীন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নিকজিশনের নির্বাচনে কাউন্সিল হওয়ার পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এমনকি সিসিক থেকে তাকে বরাদ্ধ দেওয়া অফিসটিকেও পরিণত করেছিলেন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে। ৫ আগস্টের পর এবার বিএনপি ঘরানার একজন লোক হিসেবে নিজেকে জাহির করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। বিএনপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টায় মরিয়া এথন তিনি।
সর্বশেষ ৪ আগস্ট শাহী ঈদগায় জালালাবাদ গ্যাস কোয়াটার এর সামনে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাবেক কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। প্রকাশ্য দিবালোকে ১৯নং ওয়ার্ডে মোটর সাইকেলে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রকাশ্যে বলে যায় কেউ যদি ছাত্র জনতার পক্ষ নিয়ে কথা বলে তাদের কে দেখে নিবেন।
এত মামলার আসামী হয়েও এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। জনমনে প্রশ্ন কেন থাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এবিষয়ে ১৯নং ওয়ার্ডের সদ্য অপসারিত কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদের মুঠোফোনে কল করলে তার মুঠোফোন বন্ধ দেখায়।
লোক মুখে শুনা যাচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও দেখা যাচ্ছে উনি এখন বিএনপির রাজনিতির সাথে সক্রিয় হতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীদের প্রশ্ন – যিনি এক সময়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের বাসায় পুলিশ বাহিনী দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি করতো এবং গ্রেফতার করিয়ে থানায় নিয়ে যেত সে এখন বিএনপিতে কিভাবে যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালায়।