ওসমানীনগর সংবাদদাতা
ওসমানীনগরে পারিবারিক কলহের জেরে আপন ভাই ও ভাতিজা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহি উদ্দিন আনোয়ার আলীর ঘর ভেঙে মালামাল লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের বড় ধিরারাই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহি উদ্দিন আনোয়ার আলীর বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় মহিউদ্দিন আনোয়ার আলীর পক্ষে থানায় লিখিত অভিযোগ দিবেন বলে জানান তার শ্যালক জাহিদ হাসান।
জানা গেছে, উপজেলার বড় ধিরারাই গ্রামের মৃত আজমত উল্লাহর ছেলে মহি উদ্দিন আনোয়ার আলীর এর পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করতে আপন ভাই মনোয়ার আলী, মকবুল আলী ও ভাতিজা সাফিকুল হোসেন জসিম পাঁয়তারা করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে ১৮ জানুয়ারি মহি উদ্দিন আনোয়ার আলী ওসমানীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মনোয়ার আলী ও সাফিকুল ইসলাম জসিম একদল লোক নিয়ে মহি উদ্দিন আনোয়ার আলীর বসত বাড়ির ঘরের দরজা ও দেওয়াল ভেঙে ঘরের ভেতরে বাথরুম, রান্নাঘরের দেওয়াল ভাংচুর করে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করেন বলে জানান প্রবাসী আনোয়ার আলী। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ভাংচুরকারীরা পালিয়ে যায়।
আনোয়ার আলীর শ্যালক জাহিদ হাসান জানান, আমি ১টার দিকে জানতে পেরেছি মনোয়ার আলী ও জসিম গংরা আমার বোনের ঘর ভেঙ্গে মালামাল লুট করছে। এরপর আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী মহি উদ্দিন আনোয়ার আলী বলেন, ৬বছর আগে আমার বড় ভাই ও পরিবারের অন্যান্যরা আমাকে বাড়ির দক্ষিণ দিকে নতুন ঘর তৈরির জায়গা নির্ধারণ করে দিলে আমি প্রায় ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ঘর তৈরি করি। দীর্ঘদিন পর আমার ছোট ভাই মনোয়ার আলী ও ভাতিজা সাফিকুল হোসেন জসিম আমার ঘর দখলের পাঁয়তারা করলে আমি জানুয়ারী মাসে থানায় একটি জিডি করি। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা আমার ঘর ভাংচুর করে মূল্যবান মালামাল লুটপাট করেছে।
সাফিকুল ইসলাম জসিম বলেন, আমরা ঘর ভাংচুর করিনি। বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার ফুফুকে জিজ্ঞেস করে জানাবো।
মনোয়ার আলী বলেন, আমি আমার বাড়ির ঘরে কাজ করানোর জন্য ঘরের দেয়াল ভেঙ্গা হয়েছে। এখানে কোনো মালামাল লুট হয় নি।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনায়েম মিয়া বলেন, তাদের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা আছে। ঘর ভাংচুরের বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।