নিউজ মিরর ডেস্ক
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশকে ধ্বংস করেছেন। দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছেন। হাসিনার দোসরদের কারণেই বর্তমানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রশাসনের হাসিনার দোসররা বসে আছে, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসরদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে, তবে অবিলম্বে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। নির্বাচন হলে জনগণের আশা পূরণ হবে এবং নির্বাচিত সরকার আওয়ামী লীগের বিচার করবে।

বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্ত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে এই সমাবেশ হয়।

তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা যদি সতর্ক থাকি, তাহলে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে না। বিএনপির নেতাকর্মীদের জনগণের সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। দলে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে, হাইব্রিডদের জায়গা দলে হবে না। যারা দলের সুনাম নষ্ট করবে, তাদের বাদ দিতে হবে। যারা অনিয়ম করবে, তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, শেখ হাসিনা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন ও গুম করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ এই আন্দোলন করেছে এবং এখনও বিএনপির আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশ একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে নিরাপদ। এজন্য দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন। জনগণের প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। দেশের স্থিতিশীলতার জন্য বিএনপি নির্বাচনের দাবি করছে। বিএনপি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, হাসিনার দালালরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে নির্বাচনের আয়োজনের দাবি জানান।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুক আলম, আকবর আলী, শেরনুর আলী, নুরুল ইসলাম, আনিসুল হক, সেলিম উদ্দিন, ফারুক আহমদ, আনসার উদ্দিন, আব্দুল মোতালিব খান, রেজাউল হক, মল্লিক মঈন উদ্দিন সোহেল, মাহদিন চৌধুরী, মুনাজ্জির হোসেন সুজন প্রমুখ।

সমাবেশে জেলা ও উপজেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।