শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ ও মশক নিধন কর্মসূচি শুরু

গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ ও মশক নিধন কর্মসূচি শুরু

https://newsmirror24.news/

নিউজ মিরর ডেস্ক
মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট নগরবাসীর নিভৃতে এই ভোগান্তি সহ্য করে আসছেন। বছরখানেক ধরে মশা নিধনে উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়নি সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিকের)। বাসার হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসবিল সহ সব ধরণের রাজস্ব সরকারকে দিয়ে আসছেন নগরের বাসিন্দারা। এরপর সিসিকের বঞ্চিত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত নগরবাসী। বিশেষ করে ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী পন্থী মেয়র ও কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। পরে মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে সরকার। আরো বেকায়দায় পড়েন জনতা। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট হলেও কোনো কার্যক্রমে ছিলেন না সিসিক কর্তারা। এ অবস্থায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার থাকা আবু আহমদ ছিদ্দীকীকে। সিসিকের প্রশাসক হিসেবে তিনি যোগদানের পর স্থবির হয়ে পড়ে নগরভবনের কার্যক্রম।এ নিয়ে কর্মকর্তারাও ছিলেন ত্যাক্ত বিরক্ত।

অবশেষে ২ ডিসেম্বর খান মো. রেজা-উন-নবী সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের দায়িত্ব নেন। চেয়ারে বসার পরই ৪ ডিসেম্বর সিসিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী পৃথকভাবে খাল পরিস্কার কর্মসূচি ও মশক নিধনের উদ্যোগ নেন।

এরই ধারাবাহিকতায় নতুন প্রশাসকের নেতৃত্বে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নগরের গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ ও মশক নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সিসিক প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী পৃথকভাবে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

এদিন সকালে নগরের ১০ নং ওয়ার্ডের কানিশাইলে গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ এবং ১নং ওয়ার্ডের হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজারে মশক নিধন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনকালে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, ‘আমরা নগরবাসীর সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। মশার উপদ্রব বিশেষ করে ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে মশক নিধন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে জলাবদ্ধতা দূর করতে গাভিয়ার খাল পরিষ্কারকরণ ও খনন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একই পদ্ধতিতে নগরীর অন্যান্য ছড়া-খালও পরিষ্কার ও খনন করা হবে।

এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নগর গড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। নগর সুন্দর রাখতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানান তিনি। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও অনুরোধ করেন তিনি।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নগর গড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। নগর সুন্দর রাখতে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানান তিনি। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও অনুরোধ করেন তিনি।

কর্মসূচি উদ্বোধনকালে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার আরও বলেন, সবার সহযোগিতায় আমরা একটি সুন্দর নগর গড়তে চাই। নগরবাসী যাতে জলাবদ্ধতার কবলে না পড়েন সেই লক্ষ্যে আমরা ছড়া-খাল সংস্কার ও খনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, নগরবাসীকে মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে তিন মাসব্যাপী মশক নিধন কর্মসূচি চলবে। ১০টি করে ওয়ার্ড নির্ধারণ করে ৪২টি ওয়ার্ডে মশার লার্ভা ধ্বংসে লার্ভিসাইড স্প্রে করা হবে। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ মশা নিধনে এডাল্টিসাইড ফগিং করা হবে।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন জানান, ঘনবসতির কারণে নগরীর বেশিরভাগ ছড়া পরিষ্কার করতে এখন যন্ত্র ব্যবহার করা যায় না। তাই শ্রমিক দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে গাভিয়ার খালের ৩৬০ মিটার পরিষ্কার ও খননে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল হলে খালের বাকি অংশ এবং অন্যান্য খাল একই পদ্ধতিতে পরিষ্কার ও খনন করা হবে।

কর্মসূচি উদ্বোধনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, জনসংযোগ কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ প্রমুখ।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo