রবিবার, ১৫ Jun ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
কেয়ামত পর্যন্ত বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকবে : মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ছাতকে সুরমা নদী যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ওসমানীনগরে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাপ, মামলা দায়ের বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫: সিলেটে রক্ত চাহিদার ৪০% পূরণ করছে মুজিব-জাহান রেড ক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্র: মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম নুরুল ইসলামের উপর হামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ সুরমায় উপজেলা শ্রমিকদল মিছিল ও সমাবেশ জাফলংয়ে মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টাকালে আটক ৪ সাংবাদিক কাইয়ুমের ভাই অ্যাড. আব্দুল মালিকের দাফন সম্পন্ন আ.লীগ নেতা পলাশ’কে সুবিধা দিতে শত কোটির পাথর দেওয়া হলো ১৭ কোটিতে! দক্ষিণ সুরমার সিলামে গেইট নিয়ে বিরোধ : আহত ২০, পাল্টা-পাল্টি মামলা ওসমানীনগরে বিএনপি নেতা কয়েছ গ্রেফতার
গোয়াইনঘাটে কবরস্থানের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাত, তদন্তে এসিল্যান্ড

গোয়াইনঘাটে কবরস্থানের বালু বিক্রির টাকা আত্মসাত, তদন্তে এসিল্যান্ড

নিউজ মিরর ডেস্ক
গোয়াইনঘাট কবরস্থানের বালু বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনাইকান্দি কবরস্থানের ১৭ বিঘা জমির বালু বিক্রি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে একটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে গত ২৯ আগস্ট গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জনস্বার্থে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের সাংবাদিক আবুল হোসেন। পরে ইউনিয়নের দায়িত্বরত তহশিলদার বিষয় সরেজমিন তদন্ত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদুল ইসলামের নিকট বালু বিক্রির সাথে জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের মনাইকান্দি কবরস্থানের ১৭ বিঘা জমির সামনের পিয়াইন নদীর বালু বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী দুইটি পক্ষ। তারা হলেন মনাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আফতাব উদ্দিন ও জুবের আহমদ গং। কবরস্থানের জমিকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে জোরপূর্বক কবরস্থানের সামনের ৪ লাখ টাকা করে প্রতি বিঘা বালু বিক্রি করে উক্ত টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে যায়। তখন সাংবাদিক আবুল হোসেন গোয়াইনঘাট থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামের কাছে বালু বিক্রি বন্ধের জন্য অভিযোগ করেন। কিন্তু ৫ দিন বালু বিক্রি বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম ও এএসআই রয়েল মিয়ার সাথে রহম-দহম করে পুনরায় বালু বিক্রি শুরু করেন। স্থানীরা প্রতিবাদ করলেও পুলিশ প্রতিবাদকারীদের মুখ বন্ধ করে দেয়। এই বালুখেকোদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করলেই পুলিশী হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। অত্র এলাকার বাসিন্দারা নিরীহ প্রকৃতির লোক। তাই পুলিশী হয়রানির ভয়ে এসকল বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস করতে পারেনি। তাই বাধ্য হয়ে কবরস্থানের সম্পদ রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দারস্থ হন সাংবাদিক আবুল হোসেন।

সাংবাদিক আবুল হোসেন বলেন,’এই বালু বিক্রির টাকা উদ্ধার করে কবরস্থানের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। প্রয়োজনে এ বিষয়ে তিনি জনস্বার্থে উচ্চ আদালতের স্বর্ণাপন্ন হবেন। তিনি বলেন বালু বিক্রির বিষয়ে দুইজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

তদন্তকালে গোয়াইনঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কবরস্থানের সম্পদ লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৃত্যুর পর সকল মুসলমানদের আসল ঠিকানা কবরস্থান। যারা এই কবরস্থানের সম্পদ লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo