নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেট শাহী ঈদগাহে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন নগরের বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুশতাক আহমদ খাঁন। এর আগে বয়ান পেশ করেন একই মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা কামাল উদ্দিন।
এছাড়া নামাজের খুতবা প্রদান ও নামাজ শেষে মুনাজাত পরিচালনা করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুজুর্গ শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি রশীদুর রহমান ফারুক (বরুণী)।
নামাজ ও খুৎবা শেষে মুনাজাতে মুসল্লিরা নিজেদের গুনাহ মাফ চেয়ে আল্লাহর দরবারে হাত উঠিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিগণ। এছাড়া দেশ, জাতি ও বিশ্বমুসলমানের শান্তি, কল্যাণেও দোয়া কামনা করা হয়।
নামাজ পরবর্তীতে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাআ ও কোলাকুলিতে ঈদগাহ ময়দানজুড়ে পরম এক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ঈদগাহে সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক ঊচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ নামাজ আদায় করেন।
এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে সিলেটে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয় দরগাহ হযরত শাহজালাল (র.) মাজার মসজিদে, তৃতীয় সর্ব বৃহৎ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নগরের আলীয় মাদরাসা ময়দানে। এছাড়া কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ, শাহপরান (রহ.) মাজার মসজিদ, তাবলিগ জমায়েতস্থল খোজারখলা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত।
পুলিশ প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকায় ২৮৪৬ ঈদগাহ ও মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে সিলেট নগর এলাকায় মোট ৩৯২ টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে ৩০৫টি মসজিদে ও ৮৭টি ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্টিত হয়। আর সিলেট জেলায় মোট ২ হাজার ৪৫৪ টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে মসজিদে হয়েছে ২ হাজার ৪৩টি ও ঈদগাহে হয়েছে ৪১১ টি ঈদ জামাত। সিলেট জেলা ও মহানগর পুলিশ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রথম ঈদ উদযাপন ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলে এসএমপি ও জেলা পুলিশ।
এছাড়া ঈদ জামাত ও পরবর্তী ফাঁকা নগরী এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঈদ জামাত কেন্দ্রিক চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে পুলিশ। পোষাকে-সাদা পোষাকে, ট্রাফিক ও টহল পুলিশ চৌকি বসিয়ে তল্লাসী ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকায় তল্লাসী চালানো হয়। তবে ফাঁকা সড়কে ছিনতাই, বাসা-বাড়িতে চুরি ও রোড ডাকাতি রোধে পুলিশের সব ক’টি ইউনিট সতর্ক রয়েছে। পর্যটন এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শাহী ঈদগাহে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।