জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রায় ৫ একর জায়গা পাঁচ বছর ধরে চেষ্টার পর উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রায় ৩ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়। বাকি জায়গা এখনও উদ্ধার হয়নি।
গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময় বেঁধে দেয়া হয়। এর পর থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা দোকানপাট থেকে পন্য সামগ্রি সরিয়ে ফেলেন, কেউ দোকানপাটের টিন খুলে নিলেও পাকা অংশ গুলো থেকে যায়।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তামাবিল মহাসড়কের দুইপাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে উঠা অবৈধ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদে আসেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনাক্যাম্পের ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্ট ২৭ বীর ইউনিটের মেজর মাজহারুল ইসলাম নওশাদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টিম, তামাবিল মহাসড়ক ছয়লেন প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক ইকবাল হায়াত, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারদের উপস্থিতিতে সরকারি জায়গা উদ্ধার করা হয়।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সিলেটের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ সালাহউদ্দিন সোহাগ বলেন, ২০১৮ সাল থেকে বারবার এখানে বসবাসরত সবাইকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে কোন কাজ হয়নি। সরকারি আদেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবত প্রায় ৫০/৬০ টি দোকান দিয়ে বেচাকেনা করে আসছে। তাই আমরা অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান কাজ পরিচালনা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমন কোনা কথা নয় সবগুলো দোকান উচ্ছেদ করার কথা। হতে পারে একদিনে সব কাজ করা সম্ভব হয়নি, এই অভিযান এখানেই শেষ নয়, আমরা পর্যায়ক্রমে সব কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করা হবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘কোনো কিছু জবরদখলে রাখা বেআইনি। ফলে যারা সরকারি সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন তা অবিলম্বে আইনের মধ্য দিয়ে উদ্ধার করতে সম্ভব। ইতোমধ্যে কিছু সম্পত্তি উদ্ধার করে সেখানে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু সংখক দোকানপাট এখনো উদ্ধার করা হয়নি। আগামীকাল সব কয়েকটি দোকান উচ্ছেদ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ সিলেটের উপ- সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোলায়মান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শামীম আহমেদ, জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শংকর চন্দ্র দেব, সহ জৈন্তাপুর ভুমি অফিসের কর্মকর্তা সহ অন্যান্যরা।