মঙ্গলবার, ১৭ Jun ২০২৫, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
শিরোনাম
জৈন্তাপুরে ইজারাকৃত বড়গাং নদীতে শ্রমিকদের উপর চাঁদাবাজদের হামলা সিলেটে বিজিবির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে : ৪৮ বিজিবি অধিনায়ক সিলেটে আবাসিক হোটেলে ডিবি পুলিশের অভিযান, ৫ নারী-পুরুষ গ্রেফতার বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাকে হেনস্থা, সাবেক চেয়ারম্যানের সাজা সিলেটে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ছাত‌কে জালিয়াতি করে হাওরে বাঁধের টাকা তোলার অ‌ভি‌যোগ হবিগঞ্জে বাসে কলেজছাত্রী ধর্ষণ, হেলপার গ্রেপ্তার সিলেটের হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ নরশিংটিলা পঞ্চায়েত কমিটি গঠন : সভাপতি মঈনুল, সাধারণ সম্পাদক দিপু জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ জাতীয়তাবাদী ফোরাম সিলেট’র নিন্দা ও প্রতিবাদ
জৈন্তা সীমান্ত দিয়ে বস্তা বন্দি হয়ে প্রবেশ করছে মাদক!

জৈন্তা সীমান্ত দিয়ে বস্তা বন্দি হয়ে প্রবেশ করছে মাদক!

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের ভারতীয় সুপারির আদলে বন্তা বন্দি করে সুপারির চালানের সাথে বদেশে নিয়ে আসছে বিভিন্ন ব্যান্ডের মদ, ফেন্সিডিলসহ নানান মাদক সামগ্রী। জৈন্তাপুর উপজেলার মোকামবাড়ী, আলুবাগান, মোকামপুঞ্জি, শান্তিমাইরজুম, এলাকা দিয়ে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা সন্ধ্যা পর থেকে এসব এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে এসব মাদক। নামিদামি প্রাইভেট কার, নোহা, লেগুনা, বাসগাড়ী, ট্রাকে ও সুপারি চালানে বিশেষ কৌশলে বস্তা বন্দি করে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও পাঠানো হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে স্থানীয় যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাদের নেতৃত্বেই এখন সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাই চিনি, কসমেটিকস, কাপড়, চকলেট, মাদক নিরাপদে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে সহযোগীতা করছে মহানগর যুবদল-ছাত্রদলের পদধারী নেতৃবৃন্দ। এর বিনিময়ে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা মোটা অঙ্কেরও টাকা নিচ্ছেন। তারাই আবার প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন টাকার বিনিময়ে। মহানগরের থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তারা লাইন ক্লিয়ারেন্স সিগনাল দিলে নগর হয়ে গন্তব্যে পৌছে যাচ্ছে চোরাচালান।

জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর, সিলেট নগরের শাহপরান, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, আম্বরখানা এবং দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বাইপাস এলাকায় চোরাচালানের গাড়ি গন্তব্যে পৌছতে মোটরসাইকেল কার, জিপ, নোহা, হাইয়েস যোগে তারাই পাহাড়া দিয়ে পাঠাচ্ছে।

সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহ কালে জানা যায়, সাংবাদিকদের কি করার আছে, এরা সাধারণত এক দুটি ছবি তুলবে আর ভিডিও করবে। তাদের ধরার কোন ক্ষমতা নেই। কারণ চোরাকারবারীরা উচ্চ মূল্যে সংশ্লিষ্টদের লাইন নিয়ে সুপারি চালানের ন্যায় বস্তা বন্দি করে এভাবে ভারত হতে নিয়ে আসছে মদের চালান।

সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা বৃদ্ধি না করা হলে এসব এলাকা দিয়ে মাদক প্রবেশ বন্ধ হবে না। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে চোরাকারবারীদের একটি সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ীদের কারনে আমরা অন্যান্য পণ্য আনতে সাহস পাচ্ছি না। তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে এসব মাদক প্রবেশ করাচ্ছে। যা কিট নামে প্রচলিত।

সীমান্তের আরো একটি সূত্র জানিয়েছে, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চোরাচালান আসে। এসব চালান তামাবিল-জৈন্তাপুর-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ও ভোলাগঞ্জ-কোম্পানীগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে নগরের পাইকারি বাজার কালীঘাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। আগে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুসারীরা পাহারা দিয়ে প্রতিদিন মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চোরাচালানের কসমেটিকস, কাপড়, চকলেট, মাদক, চিনির ট্রাক শহরে ঢোকাতেন। এখন এ কাজে হাতবদল ঘটেছে।

একাধিক চোরাকারবারির ভাষ্য, গেলো কদিন হরিপুরের ঝামেলার কারনে সাময়িক বন্ধ থাকে চোরাচালান। এখন আবার শুরু হয়েছে। এখন শহরে নির্বিঘ্নে ভারতীয় চিনি প্রবেশ ঘটাতে যুবদল ও ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হার্ডলাইনে প্রশাসন। চোরাচালান জব্দে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। কাউকেই ছাড় দেয়া হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসছে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo