শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
এখনও অধরা যুবলীগ নেতা নজরুল : রক্ষাকবচ বিএনপি!

এখনও অধরা যুবলীগ নেতা নজরুল : রক্ষাকবচ বিএনপি!

বায়ে লাল বক্সে যুবলীগ নেতা নজরুল এবং ডানে সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম।

বিশেষ প্রতিবেদক
জুলাই ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংসতা চালানো একাধিক মামলার আসামী কুখ্যাত ভূমিখেকো সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম এখনও অধরা! তাকে রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সিলেট বিএনপির শীর্ষ ক’জন নেতা! গুঞ্জন রয়েছে যুবলীগ নেতা নজরুলকে রক্ষায় কাজ করছেন সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা বর্তমান ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম ও সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুর রহমান।

সূত্র জানিয়েছে, সদর উপজেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম- যুবলীগ নেতা নজরুলকে রক্ষায় নিয়মিত সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর অফিসে এবং সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুর রহমানের কাছে যাওয়া আসা করেন। যুবলীগ নেতা নজরুলকে সাথে নিয়ে কালাম কয়েকবার মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর অফিসে যান। এর সত্যতাও পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার তুরুকবাগ গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা নজরুল। একসময় সিলেটের বন্দরবাজার ও লালবাজার এলাকায় রাস্তায় হকারি করতেন। তৎকালীন বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে উত্থান ঘটে নজরুলের। সিলেটের শীর্ষ দুই ভূমিখেকোর ছত্রছায়ায় শুরু করেন বেপরোয়া কর্মকান্ড। কাগজ জালিয়াতি দখল বানিজ্যের মাধ্যমে গড়ে তুলেন সাম্রাজ্য। গরীব অসহায় মানুষের ভূমি আত্মসাতের বদৌলতে হয়ে বনে যান সিলেটের অঘোষিত ভূমিখেকোদের সম্রাট। নজরুলের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ, তিনি মধুবন মার্কেটে ১০টি দোকান দখল করে রেখেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হাউজিং এস্টেট রাস্তার পাশে সরকারি জায়গা দখল করে দোকান কোঠা নির্মান করে মহানগর নামক একটি ফার্মেসি দিয়েছেন।

একটি সূত্র জানায়, চাঁদাবাজির এক ঘটনায় যুবলীগ নেতা নজরুল, বিতর্কিত ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য কালামসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে সিলেট জেলা বারের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মকসুদ আহমদ সাহান সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২২/২০২৪। চাঁদাবাজি এবং জুলাই আন্দোলনের মামলা গুলো তদন্ত করছে পিবিআই ও সিআইডি।

সূত্রটি আরো জানায়, নিজ গ্রাম তুরুকবাগ থেকে বিতাড়িত নজরুল। বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানাধীন নগরীর ৩৭নং ওয়ার্ড আখালিয়ার টিলারগাঁও ঘাঁটি গেড়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিএনপি, ও জামায়াত নেতাদের আঁতাত করে নজরুল টিলার গাঁও পয়েন্টের জায়গাটি দখল করেন। ত্রিমুখী ধন্দে থাকা জায়গাটি আত্মসাতের জন্য জাল কাগজ-পত্র সৃষ্টির পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নজরুলকে সাথে নিয়ে কালামের চলাফেরা দলকে করছে বিতর্কৃত। জুলাই আন্দোলন মামলার আসামিকে নিয়ে এভাবে প্রকাশ্যে চলাফেরা জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ।

বিষয়টি জানতে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা, বর্তমান ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালামের মুঠোফোন ০১৭১৭….৯৪ এ কল করলে তা বন্ধ দেখায়।

সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির উপদেষ্ঠা আব্দুর রহমান জানান, যুবলীগ নেতা নজরুল জুলাই আন্দোলনের মামলার আসামি তিনি জানেন না। কালামের মাধ্যমে নজরুলের জমিজমা সংক্রান্ত একটি সমস্যার কথা শুনে তিনি নজরুলের বাসায় গিয়েছিলেন। পরে নজরুলের বিষয়টা সমাধানের জন্য খাদিম নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার সিরাজ মিয়াকেও বলেছিলেন।

সিলেট মহানগর যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তা ব্যস্ত দেখায়।

সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আবুল কালাম যুবলীগ নেতা নজরুলকে তার অফিসে নিয়ে এসেছিলেন। তাদের জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তারা এসেছিল। তিনি তাদের তাদের সমস্যার জন্য বলেন, এটা আইনি বিষয় আইনি বিষয়, আইনগতভাবে সমাধানের পরামর্শ দেন। নজরুল কে? বা কোন দলের তিনি জানেন না।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, যুবলীগ নেতা নজরুলেরর বিরুদ্ধে যেসকল মামলা রয়েছে সেগুলো দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo