শুক্রবার, ০৬ Jun ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশ
সাইটের সংস্কার কাজ চলছে, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
এখনও অধরা ডেভিল রাজু গোয়ালা ও রাম বাহাদুর

এখনও অধরা ডেভিল রাজু গোয়ালা ও রাম বাহাদুর

বিশেষ প্রতিবেদক
সিলেটে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী এবং আতঙ্ক সৃষ্টিকারী নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ নেতা ডেভিল রাজু গোয়ালা ও ডেভিল রাম বাহাদুর। দু’জনেই লাক্কাতুরা এবং মালনিছড়া চা-বাগানের চা-শ্রমিক নেতা। রাজু গোয়ালা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ গোয়ালার পিতা। তিনি পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের গত নির্বাচনে ৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। আর আওয়ামী লীগ নেতা রাম বাহাদুর সদর উপজেলার ৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার। দু’জনেই জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর হামলার একাধিক মামলার পলাতক আসামী। এসএমপির বিমানবন্দর ও কোতোয়ালী থানাসহ সিলেটের বিভিন্ন থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। অথচ ওরা প্রকাশ্যে নগরে চলাফেরা করছে। ওরা এখনও অধরা। এদের প্রকাশ্যে চলাফেরায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বিএনপির দুই সুযোগ সন্ধানী নেতার শেল্টারে ওরা থানা পুলিশ ম্যানেজ করেই চলাফেরা করছে এই দুই ডেভিল। এদের ভয়েই গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে অজানা আতঙ্কে ছিল সিলেটের ছাত্র-জনতা। পলাতক আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন আওয়ামী লীগ নেতা রাজু গোয়ালা ও রাম বাহাদুর গা-ঢাকা দিলেও এখন প্রকাশ্যেই নিজ এলাকায় লাক্কাতুরা-মালনীছড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। চা-শ্রমিকদের আন্দোলনেও অংশ গ্রহন করছে। গত সাপ্তাহে এদের নেতৃত্বেই বিমানরন্দর সড়ক অবরোধ করা হয়! এছাড়াও রাজু গোয়ালা ছেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ গোয়ালার বিরুদ্ধেও ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একাধিক মামলা রয়েছে।

এই দুই ডেভিলক দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা।

জানা গেছে, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদের নির্দেশে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর তাদের দলবল (উশৃঙ্খল চা-শ্রমিকদের) নিয়ে নিরীহ ছাত্রজনতার ওপর হামলা চালায় ওরা। আশফাক আহমেদের মদদে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চা-বাগানের গাছ, মাটি, বালু, জমি দখল করে অঢেল সম্পদ বানিয়েছে ওরা।

তাদের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতা ইমন। তিনি এসএমপির কোতোয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং-৪৪৩/২৫।

নিষিদ্ধ সংগঠনের এই দুই নেতার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সিলেট বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া নির্দেশনা রয়েছে। বিএনপি কিংবা অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কর্মী এবং নেতা যে বা যারা ডেভিলদের আশ্রয় এবং প্রশ্রয় দিবেন। আর যারা এদের সুযোগ করে দেবে তারা দলের কোন পর্যায়ের নেতা কর্মী হতে পারে না। এরা সুযোগ সন্ধানী। এরা সবসময়ই উৎপেতে থাকে সুযোগ গ্রহণ করার জন্য। এদের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমানকে কল করলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে সরকারের আইন প্রয়োগকারি একটি সংস্থা এদের গতিপথ মনিটরিং করছে। শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে সংস্থাটি জানিয়েছে।

শেয়ার দিয়ে অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিন, ধন্যবাদ।




© All rights reserved © 2012 Newsmirror24.news
Design BY Web Home BD
ThemesBazar-Jowfhowo