বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
বিয়ানীবাজারে হাওরে গরু চরাতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ মুড়িয়া হাওরে ভেসে উঠলো দুইদিন পর। মৃত্যুবরনকারি যুবক উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের টেকইকোনা গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের পুত্র জাভেদ আহমদ (৩৮)। শুক্রবার দুপুরে মুড়িয়া হাওরে রাখাল শাহের মোকামের পাশে বিলের পানিতে তার ভাসমান মরদেহ পাওয়া যায়।
জানা যায়, জাভেদ আহমদ গত বুধবার নিখোঁজ হয়। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করেও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। ২দিন পর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয়রা হাওরে বিলের জলে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, জাবেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছে। পরিবার ও নিজের ভাগ্য উন্নয়নে পড়ালেখা ছেড়ে প্রায় ৩ বছর আগে দুবাই চলে যায়। সম্প্রতি দুবাই থেকে একেবারে চলে এসেছে সৌদিআরব যাওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে তার সৌদি আরবের ভিসাও হয়ে গেছে। সৌদি আরব গমণের প্রস্তুতির মধ্যেই দুদিন আগে নিখোঁজ হয়।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফউজ্জামান বলেন, বৃষ্টির দিনে গরু নিয়ে দুইদিন আগে হাওরে যায় জাবেদ। শুক্রবার ভাসমান লাশের খবরে পুলিশ গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে পরিবার ও পুলিশের ধারনা বজ্রপাতের কারণে সে মৃত্যুবরন করতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।