বিশেষ প্রতিবেদক
সিলেট সদর উপজেলা কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড হাজী আজিজুর রহমান আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে নির্মাণাধীন দুর্যোগ আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রকল্পে সরকারি জমির মাটি নিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, পশ্চিম দর্শা গ্রামের ছাঁদ খাঁনের ছেলে সুলেমান খান এবং মিরেরগাঁও গ্রামের তবারক আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম এই মাটি নিচ্ছেন বলে স্থানীয়রা জানিযেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রোববার সদর উপজেলা অফিস থেকে এই জায়গা থেকে মাটি না নেয়ার জন্য মৌখিকভাবে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জালালাবাদ থানাধীন হাজী আজিজুর রহমান আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে নির্মাণাধীন দুর্যোগ আশ্রয়ণ কেন্দ্রটি নিচু স্থানে পড়ে যাওয়ায় সেখানে মাটি ভরাটের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। ফলে, সম্প্রতি সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ ও ওপর দুই সহযোগী সুলেমান এবং নজরুল। কিন্তু তারা যে স্থান থেকে মাটি উত্তোলন করছেন সেটি গোপাল উত্তর মৌজা সুরমা নদীর ভরাট কৃত জেলা প্রশাসকের খতিয়ান বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেনে ইউপি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন। এনিয়ে, সরকারি জায়গা থেকে সরকারের কাছে মাটি বিক্রি করায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবন থেকে আনুমানিক ৩০০ ফুট দুরত্বে গভীর গর্ত করে মাটি উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া যায়। মাটি উত্তোলনকারী কাউকে পাওয়া না গেলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছে, বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ, সুলেমান এবং নজরুল মাটি উত্তোলন করছেন বলে তারা জানান। এসময় প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনাম এন্ড সন্স কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায় নি। তবে গার্ড আলামিন শেখ বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ ও সুলেমান প্রকল্পে মাটি সরবরাহ করছেন বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে নজরুল মাটি উত্তোলনে সম্পৃক্ত নয় দাবী করলেও সুলেমান খান প্রকল্পে মাটি সরবরাহ করছেন বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করে বলেন, মাটি সরবরাহে বিএনপি নেতা ফারুক আহমদের সাথে ২০% শেয়ার রয়েছে তার। সুরমা নদীর ভরাট হওয়া দখলিয় মালিক কানা আদ্রাই সুনাপুর গ্রামের চেরাগ আলীর ৯০ শতক জায়গার মাটি উত্তোলন করার জন্য প্রতি ঘনফুট মাটি ১.৮০ পয়সা মুল্যে ফারুক আহমদের সাথে চেরাগ আলীর চুক্তি রয়েছে। সেই অনুযায়ী তারা মাটি উত্তোলন করছেন।

বিষয়টি জানতে, চেরাগ আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এছাড়াও বিএনপি নেতা ফারুক আহমদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তা ব্যস্থ দেখায়।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।