নিউজ মিরর ডেস্ক
সিলেটে ফার্মেসী কাউন্সিলের এক পরীক্ষাকে ঘিরে প্রতারণার অভিযোগ। সহস্রাধিক আবেদনপ্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়েকজনের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আর বাকীদেরকে নানা ফন্দি ফিকিরে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফার্মসিস্ট হতে আগ্রহীদের সঙ্গে এমন প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সিলেটের কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির বিরুদ্ধে। তবে তারা সে অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
সিলেটে ফার্মাসিস্ট পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক কয়েকজনের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল থেকে পরীক্ষায় মাধ্যমে ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্টেশন কোর্সে ভর্তি করা হয়। এবারও ৬৪তম কোর্সে ভর্তির জন্য দরখাস্ত আহবান করা হয়। বলা হয় অনলাইনে আাবেদন করতে হবে এবং সে আবেদনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে অনলাইনে ফি জমা দিতে বলা হয়।
কিন্তু আবেদনকারী কেউই অনলাইনে আবেদনের কিংবা টাকা জমার সুযোগ না পেয়য়ে সিলেটের কেমিস্ট ড্রাগিস্ট সমিতির অফিসের স্মরণাপন্ন হন। সেখানে সারাদিন আবেদন প্রত্যাশীদের অপেক্ষায় রেখে সন্ধ্যার সময় ফাইল হাতে হাতে টাকা সহ জমা নেন অফিসের লোকজন। সেখানে পারভেজ নামের এক স্টাফ আবেদন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৫ হাজার ২শ টাকা করে নেন এবং অনলাইনে আবেদন করে দেয়ার আশ্বাস দেন। রাতে জানানো হয় আবেদনে বিষয়টি ফার্মেসী কাউন্সিল স্থগিত করেছে। পরবর্তীতে তারিখ জানানো হবে। এর দুই দিন পর জানানো হয় ১২ মে আবেদন জমা নেয়া হবে। ঐদিন আগে জমাদানকারী সবাই উপস্থিত হন সিলেটের মীরবক্সটুলার কেমিস্ট ড্রাগিস্ট সমিতির অফিসে। সেখানে দুই ঘন্টা পর জানানো হয় আবেদন কোটা পূর্ণ হযে গেছে। আর আবেদন নেয়া হচ্ছেনা। যাদের জমা নেয়া হয়নি তাদের টাকাও ফেরত দিয়ে দেয়া হয়।
তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, আবেদন জমা হয়েছে সিলেটের প্রায় অর্ধশত লোকের। আর যাদের আবেদন জমা হয়েছে তাদের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া হয় পারভেজসহ দুজন কর্মচারীর।
আবেদন প্রত্যাশীদের মধ্যে মছব্বির নামের একজন তাঁর পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবেদনের দুইদিন পুরো একটা নাটক করা হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের কথা বলে সরাসরি কাগজপত্র ও টাকা নেয়া হয়েছে। যারা তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারাই আবেদন জমা করতে পেরেছেন। বাকীরা পারেননি। যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কর্মচারী পারভেজ বলেন এখানে তাদের কিছু করার নেই। তাদের উপর যে নির্দেশনা ছিলো তা তারা পালন করেছেন। অনলাইনে আবেদনের কথা বলে কেন সরাসরি ফাইল নেয়া হলো সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি সিলেট এর পরিচালক পান্না বলেন, আমার জানা মতে ৬শ আবেদন জমা হবার কথা ছিলো। কিন্তু মাত্র ১০৭ জনের আবেদন জমা নেয়া হয়েছে। অন্যায় কি ঘটেছে আমরা কিছুই জানিনা। আমাদের কোনো স্টাফ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটের ড্রাগ সুপার শামীম আহমদ বলেন, এটিতো ফার্মেসী কাউন্সিল নিয়ন্ত্রণ ও তত্বাবধান করে থাকে। অনলাইনে আবেদন করার কথা। এর বাইরে কেউ কিছু করে থাকলে সেটি অন্যায়। কারও কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।