নিজস্ব প্রতিবেদক
দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়া এলাকায় একটি বাড়ির গেইটের নামফলক নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ১০ জুন সকাল ১১টার দিকে সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়ার আনা মিয়ার দোকানের সামনের গেইটের সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা সবাই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সংঘর্ষের এই ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ১০ জুন সকাল ১১টার দিকে সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়ার আনা মিয়ার দোকানের সামনের খন্দকার বাড়ির গেইটের নামকরণ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়। খন্দকার বাড়ির লোকেরা নির্মিত গেইটে নাম ফলক লাগানোর চেষ্টা করলে অপরপক্ষ মো. তজমুল আলী গংরা এসে তাতে বাধা প্রদান করেন। এতেই শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ। গেইট সম্মুখে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়ার মো. তজমুল আলীর ছেলে মো. মুহিব আলী নোমান বাদী হয়ে ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৪/৭৫। এই মামলায় আসামীরা হলেন- সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়ার মৃত মন্তাজ আলী খন্দকারের ছেলে জুবেল খন্দকার (৪৯), রুমেল খন্দকার (৫৩) ও রুহেল খন্দকার (৫১)। সিদ্দিক মঞ্জিলের মবু খন্দকার (৪৪), মৃত ইসমাইল আলীর ছেলে জামাল খন্দকার (৩৮), মৃত আহমদ আলীর ছেলে আকবর আলী খন্দকার (৩৮), রুহেল খন্দকারের ছেলে অপু খন্দকার (২০), নূর আলীর ছেলে দিলোয়ার খন্দকার (৩৪) ও আজির উদ্দিন (৩৮)।
অপরদিকে, সিলাম ইউনিয়নের টিলাপাড়ার রুহেল খন্দকারের স্ত্রী শিরিন খন্দকার বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং–০৫/৭৬। এই মামলায় আসামীরা হলেন-সিলাম ইউনিয়নের মৃত ওয়ারিস মিয়ার ছেলে জমির মিয়া (৫০), জমির মিয়ার ছেলে নাহিদ (২৪), মৃত ওয়ারিস মিয়ার ছেলে মো. তজমুল আলী (৫৫), মো. তজমুল আলী ছেলে নোমান (৩০), মৃত রসু মিয়ার ছেলে আনা মিয়া (৬৫) ও ময়নুল মিয়া (৩৫), মৃত ওয়ারিস মিয়ার ছেলে নামর মিয়া (৪৫), নামর মিয়ার ছেলে জুনেদ (৩৫), মৃত রসু মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫), নামর মিয়ার ছেলে মিলাদ (৩০) ও জাবিদ মিয়ার ছেলে মাক্কু মিয়া (৫৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির মোগলাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।